শনিবার যে পিচে ভারতের ব্যাটারেরা ১১৬ রান তাড়া করতে পারেননি, রবিবার সেই মাঠেই ২৩৪ রান করলেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শতরান করলেন অভিষেক শর্মা। ৭৭ রান করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন রিঙ্কু সিংহ। দাপট দেখালেন ভারতের বোলারেরাও। ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ়ে সমতা ফেরাল ভারত।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ব্যাট করার সুযোগই পেলেন না সুদর্শন। কারণ, ভারতের টপ অর্ডারের দাপট। অধিনায়ক শুভমন এই ম্যাচে রান পাননি। শুভমন আউট হওয়ার পরে মনে হয়েছিল, আগের দিনের হালই হবে না তো। সেটা হতে দিলেন না অভিষেক ও রুতুরাজ। দায়িত্ব ও আগ্রাসন মিলিয়ে কী ভাবে খেলতে হয় দেখালেন। মনে হল, প্রথম ম্যাচে হারের লজ্জার শোধ দ্বিতীয় ম্যাচে উসুল করতে নেমেছেন তাঁরা।
নিজের অভিষেক ম্যাচে শুরুতেই বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন অভিষেক। দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। উইকেটের চার দিকে শট খেলছিলেন তিনি। ৩৩ বলে অর্ধশতরান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার পরে প্রথম গিয়ার থেকে সরাসরি পঞ্চম গিয়ারে চলে গেলেন অভিষেক। ডিয়ন মেয়ার্সের এক ওভারে নিলেন ২৮ রান। সেই শুরু। মাত্র ১৩ বলে ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছলেন অভিষেক।
অভিষেক যত ক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ ধীরে খেলছিলেন রুতুরাজ। অভিষেক আউট হওয়ার পরে তিনিও হাত খুললেন। অর্ধশতরান করলেন। তার পরে রুতুরাজেরও রান তোলার গতি বাড়ল। তবে তিনি ছক্কার থেকে বেশি চার মারছিলেন। আগের ম্যাচে রান না পাওয়া রিঙ্কুও এই ম্যাচে রান করলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, ২৪ ঘণ্টায় বুঝি পিচ পুরোটাই বদলে গিয়েছে।
জ়িম্বাবোয়ের হার ছিল সময়ের অপেক্ষা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। দেখার ছিল যে তারা পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে পারে কি না। আগের ম্যাচে ৯০ রানে ৯ উইকেট পড়ার পরেও জ়িম্বাবোয়েকে অল আউট করতে পারেননি ভারতের বোলারেরা। এই ম্যাচে অবশ্য ১৮.৪ ওভারে ১৩৪ রানে অল আউট হয়ে গেল জ়িম্বাবোয়ে। ১০০ রানে হেরে মাঠ ছাড়ল তারা।