আকাশের বুকে ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ মানালিতে, ১৬০ ফুট উঁচুতেই লাঞ্চ থেকে ডিনার

ভাবুনতো একবার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে আকাশের বুকে মনের মতো খাওয়া। যে দিকে চোখ যায় শুধু পাহাড় আর সৌন্দর্য।

কী ভাবছেন এমন আবার হয় নাকি!

তাহলে উত্তরে বলতে হয় ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের মানালিতে তৈরি হয়েছে এমনই এক রেস্তোরাঁ। মাটি থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে বসে সেখানেই খেতে পারবেন মন পসন্দ ডিশ। পাহাড়ের কোলে তৈরি এই ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ নাম ফ্লাই ডাইনিং (Fly Dining)।

পর্যটকদের তা যেন চুম্বকের মতো টানছে। লাঞ্চ হোক কিংবা ডিনার, ফ্লাই ডাইনিংয়ে সবই মিলছে আকাশছোঁয়া উচ্চতায়। হিমাচল প্রদেশে তো বটেই, পাহাড়ের কোলে ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ এই প্রথম, দাবি উদ্যোক্তাদের। এও বলা হচ্ছে, মানালির এই ‘ফ্লাই ডাইনিং’ পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ।


এই রেস্তোরাঁয় ২৪টি আসনের একটি টেবিল রয়েছে। তা ক্রেনের সাহায্যে তোলা হয়েছে ১৬০ ফুট উঁচুতে। শূন্যেই দোলে সেই টেবিল। তার সঙ্গে জোড়া রয়েছে ২৪টি চেয়ার। এই রেস্তোরাঁয় যাঁরা খেতে বসেন, তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে বেঁধে দেওয়া হয় সিট বেল্ট। পাহাড়ের কোলে শূন্যে ঝুলন্ত সেই রেস্তোরাঁয় বসে জিভে জল আনা সব খাবারে কামড় বসান পর্যটকরা। খেতে খেতেই প্রকৃতির ঐশ্বরিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন তাঁরা। মানালিতে এই রেস্তোরাঁ এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
ফ্লাই ডাইনিং-এর মালিক দমন কাপুর। তিনি বলেন, ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ গোয়া, নয়ডাতেও আছে। তবে পাহাড়ে এমন রেস্তোরাঁ আমাদের দেশে আর কোথাও নেই। মানালিতেই প্রথম। পর্যটকদের এই রেস্তোরাঁয় বসার জন্য যা কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হয়েছে। সবরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মানালির পাহাড়ের বুকে এই রেস্তোরাঁ তৈরিতে খরচ পড়েছে ৯ কোটি টাকার কিছু বেশি। এখানে খাওয়াদাওয়ার প্যাকেজের খরচ অবশ্য একটু বেশিই। মাথাপিছু ৩৯৯৯ টাকা দিতে হয় রোমাঞ্চকর এই অভিজ্ঞতার জন্য। এতে ইনসিওরেন্স, গান-বাজনা এবং ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফি চার্জ যোগ করা আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =