নিজস্ব প্রতিবেদন, লাউদোহা: ফের রাস্তা ধীরে ধীরে আরও ধসছে বলে দাবি। বৃষ্টির জলে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে লাউদোহা- জামগড়া রাস্তা। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ।
বিকল্প রাস্তা তৈরি না করে এলাকা ধসানো হয়েছে অভিযোগ নিয়ে চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাস্তার দাবিতে কোলিয়ারির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জামগড়া গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের প্রায় শ’ পাঁচেক মানুষ সেই দিন বিক্ষোভে সামিল হন। বিক্ষোভের জেরে উৎপাদন এবং পরিবহণ বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি।
গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর ঘোষ, ভাগ্যধর পাল, প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, ঝাঁজরা কোলিয়ারির ইসিএল কর্তৃপক্ষ সুপরিকল্পিত ভাবে গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে গৃহবন্দি করার চেষ্টা করছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, লাউদোহা মোড় থেকে জামগড়া হয়ে বাসিয়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারের কিছু অধিক পথ তৈরি হচ্ছিল রাজ্য সরকারের আরআইডিএফের উদ্যোগে। যার আনুমানিক ব্যয় বরাদ্দ হয়েছিল ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছিল রাস্তার কাজও বলে গ্রামবাসীরা জানান। কিন্তু হঠাৎ করে ঝাঁজরা কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ গিয়ে সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। অবশেষে শাসকদলের নেতৃত্ব ও কোলিয়ারির আধিকারিকের কথায় সেই সময়ের মতো বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
কিন্তু রবিবার রাত থেকে খনি এলাকা লাউদোহার বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিতেই আরও একবার চরম সমস্যার সম্মুখীন জামগড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। গ্রামবাসীদের দাবি, লাউদোহার এমআইসি থেকে জামগড়া যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি আগের তুলনায় আরও ধসেছে। রাস্তা গর্ত, কাদা ও জলে ভরে যাওয়ায় চরম বিপদের ঝুঁকি নিয়েই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করছে। যে কোনও সময় বড়সড় বিপদ ঘটলে তার দায় ইসিএলকেই নিতে হবে বলে দাবি জানান গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীরা জানান, অতি সত্ত্বর লাউদোহা থেকে জামগড়া যাওয়ার একমাত্র প্রধান রাস্তাটি তৈরি না হলে কোলিয়ারি বন্ধ বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। যদিও এই বিষয়ে কোলিয়ারির আধিকারিকদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।