রাজ্যে আইপিএস স্তরে বড়সড় রদবদল হলো বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বদলির কথা জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এই নির্দেশে নজরে আসছে রদবদল হল ৫১ জন আইপিএসের। এই রদবদলের জেরে নতুন পদও পেয়েছেন তাঁরা। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আইপিএস স্তরে এই রদবদল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকেই। কারণ, অতীতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে হিংসা ও অশান্তির অভিযোগ বার বার তুলেছে বিরোধী দলগুলি। সেই সময়ে এই বদলি স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা হলেন কলকাতার অ্যাডিশনাল সিপি। তাঁর জায়াগায় নতুন যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) হলেন শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক) থেকে বদলি হয়ে যুগ্ম কমিশনার (সদর) হয়েছেন সন্তোষ পাণ্ডে। এদিকে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিকের দায়িত্বে এসেছেন ডিসি (সেন্ট্রাল) রূপেশ কুমার। যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার পদন্নোতি পেয়ে অ্যাডিশনাল সিপির দায়িত্ব পেয়েছেন।
রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে আইজি ট্র্যাফিক পদে এসেছেন সুকেশ কুমার। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের ডিআইজি পদে দায়িত্ব নিলেন দেবস্মিতা দাস। বাঁকুড়া রেঞ্জের ডিআইজি মিরাজ খলিদকে পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া রেঞ্জে। বদলি করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকেও। তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি করা হয়েছে। ওই পদে ছিলেন দীনেশ কুমার।
তাঁকে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল করা হয়েছে। ডিসি (সাউথ) হয়েছেন প্রিয়ব্রত রায়। বিধাননগরের ডিসি প্রবীন প্রকাশকে দার্জিলিংয়ে এসপি পদের দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন। সাগরদিঘি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পর বদলি করা হল জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি ভোলানাথ পাণ্ডেকেও। তাঁকে রাজ্য পুলিশের তিন নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের দশম ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার রাহুল গোস্বামীকে। মিরাজ খালিদকে বাঁকুড়া রেঞ্জের ডিআইজি পদ থেকে পুরুলিয়ার ডিআইজি করে পাঠানো হচ্ছে।
সব মিলিয়ে ব্যাপক রদবদল রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারদের মধ্যে।
