তিলজলায় শিশু খুনের ভয়াবহ ঘটনায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা তিলজলায় গিয়ে কথা বলতে চাইলেও তাঁদের দেওয়া হল না সুযোগ। সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল। সিশু সুরক্ষা কমিশনের এই দুজন হলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এবং সেক্রেটারি রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি, শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। জোর করে তাঁদের বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। প্রসঙ্গত, তিলজলায় শিশু খুনের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় শুক্রবার কলকাতায় আসে কমিশনের টিম।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুর বাড়িতে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পরই ওই প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যায়। বাইরে এসে তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা জোর করে ঘরে ঢুকে তাঁদের বের করে দিয়েছে। তবে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি, কাউকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়নি। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য়, গাইডলাইন অনুযায়ী সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়। সে কারণেই তাঁরা এদিন গিয়েছিলেন। এরপরই জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের টিম পৌঁছে যায় তিলজলা থানায়। এরপরই থানায় পৌঁছে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন সুদেষ্ণা রায়। সেখানে যান শিশুর বাবা ও মা।
গত রবিবার তিলজলায় এক শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ওঠে খুনের অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে তিনি জেরায় দাবি করেন, তান্ত্রিকের পরামর্শেই নাকি ওই শিশুকে খুন করেছেন তিনি। এই ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।