ফল দেখলেই বাড়ির খুদে সদস্যটি কি উল্টো দিকে দৌড়য়? এই সমস্যা বোধহয় ঘরে ঘরে। কিন্তু ফল তো খেতেই হবে। না হলে বাচ্চার পুষ্টি হবে কী করে?
তার চেয়ে বরং জবরদস্তি ফন্দি আঁটুন। বাচ্চা যা খেতে ভালবাসে, সেই ফর্মে ফল দিন।
ফলের রসের আইসক্রিম- বাচ্চারা আইসক্রিম, বরফ ভালবাসেই।
তরমুজ, মুসম্বি লেবু, আনারস যখন যেটা থাকবে, আলাদা করে রস করে নিন। তার মধ্যে নুন ও চিনি স্বাদমতো দিয়ে ভাল করে মিক্স করে কাঠি আইসক্রিমের ছাঁচে জমিয়ে নিন। লাল, সবুজ, হলুদ আইসক্রিম দেখলেই বাচ্চারা ঝামেলা না করে খেয়ে নেবে।
ফ্রুট কাস্টার্ড-
বেদানা, আপেল, বাদাম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফ্রুট কাস্টার্ড।দুধ জ্বাল দিন। ফুটতে শুরু করার সময় একটি পাত্রে কাস্টার্ড পাওডার নিয়ে ইষদুষ্ণ দুধ দিয়ে গুলে মিশিয়ে দিন।এবার ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দুধের মিশ্রন ঘন হয়।দিয়ে দিন চিনি। তারপর দুধ ঠান্ডা করে নিন। ফ্রিজে ভরে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর তাতে খেঁজুর, আমসত্ত্ব, বেদানা, আপেল, আঙুর ইচ্ছেমতো ফল মেশান। চাইলে কাজুবাদাম, আমন্ড দিন। বাচ্চার বেড়ে ওঠার জন্য এই সবকটি উপাদানই জরুরি। আর অবশ্যই বাচ্চাকে কোনও সুন্দর বাটিতে সুন্দর করে পরিবেশন করুন। মনে রাখবেন সে ছোট হলেও ভালভাবে খাবার দিলে তারও খেতে ইচ্ছে করবে।
আপেল হালুয়া-
আপেল খেতে বেশিরভাগ বাচ্চা অপছন্দ করে। তাই বানিয়ে ফেলুন আপেলের হালুয়া।আপেল গ্রেট করে নিন। কড়াইতে এক চামচ ঘি দিয়ে গ্রেট করা আপেল ভাল করে নাড়তে থাকুন। বেশ কিছুক্ষণ পর তাতে চিনি দিন। দিয়ে দিন ক্ষোয়া ক্ষীর। না -থাকলে গুঁড়ো দুধ মেশাতে পারেন। তারপর আমন্ড, কাজু বাদাম কুঁচি মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন, ঘি কিন্তু হেলদি ফ্যাট।বাচ্চাদের যেহেতু বেড়ে ওঠার সময়, তাই তাদের প্রোটিন, ভিটামিন খুব দরকার। সেই সঙ্গে দরকার হেলদি ফ্যাটও।