ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশকে হারিয়ে স্বস্তি ইস্টবেঙ্গলে

ড্র দিয়ে মরসুম শুরু হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম ম্যাচে রেনবো এফসির বিরুদ্ধে হতাশার পারফরম্যান্স। তার ওপর গোলকিপার আদিত্য পাত্রর গুরুতর চোট চিন্তায় রেখেছিল লাল-হলুদ শিবিরকে। এ দিন নৈহাটি স্টেডিয়াম ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশকে ৪-২ ব্যবধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল। চড়াই উতরাই পেরিয়ে শেষ অবধি তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারলেন সার্থকরা। উচ্ছ্বাস লাল-হলুদ গ্যালারিতেও। প্রথমার্ধেই বড় লিড নিতে পারত ইস্টবেঙ্গল। ১৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ২৫ মিনিটেই স্কোর লাইন ২-০ করেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই। প্রথমার্ধেই ১ গোল শোধ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পুলিশের আরও একটা গোল। স্কোরলাইন ২-২। প্রথম ম্যাচের মতোই ড্র হবে না তো! ম্যাচের ৭০ মিনিটে দীপ সাহার পেনাল্টি গোলে ফের লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। ৪ মিনিটের ব্যবধানে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে স্কোর লাইন ৪-২ করেন অভিষেক কুঞ্জম। রেনবো ম্যাচ ড্র করে যে সাময়িক অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। মরসুমের প্রথম জয়ে কিছুটা স্বস্তি। কিন্তু কিছুটা চিন্তা থাকল ডিফেন্স নিয়ে। শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যা সমস্যার হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় ম্যাচ ২০ জুলাই নৈহাটি স্টেডিয়ামে খিদিরপুর এসসির বিরুদ্ধে। প্রিমিয়ার ডিভিশনে এরিয়ান বনাম ক্যালকাটা কাস্টমস ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছে। জর্জ টেলিগ্রাফ বনাম ওয়ারি ক্লাবের ম্যাচ ২-২ ড্র। জর্জের হয়ে গোল দুটি করেন অমিত এক্কা, জাহিদ ইউসুফ। ওয়ারি ক্লাবের হয়ে গোল বাপ্পা প্রসাদ (আত্মঘাতী) এবং মনদীপ সিং মুলতানির। ইস্টার্ন রেলওয়ে বনাম রেনবো এফসি ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়। রেলের হয়ে গোল সাগর খমারুর। রেনবোর হয়ে গোল করেন সৌরভ দাশগুপ্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 14 =