দল ভালো খেলছে। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে। এমন সময় ভারতীয় দলের হেড কোচ মেজাজ হারিয়ে বড় ভুল করে বসলেন। থ্রো-ইন কে পাবে, এই নিয়ে টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে নেপালের রেফারিকে ইশারা করছিলেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ। পাকিস্তান ফুটবলার রাহিস নবি থ্রো-ইন নিচ্ছিলেন। যদিও মেজাজ হারিয়ে তাঁর হাত থেকে বল ফেলে দেন স্টিমাচ। এরপরই তুমুল ঝামেলা। ম্যাচ শুরুর মাত্র ১০ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। সুনীল ছেত্রী গোল করেন। ৪ মিনিট পরই সুনীলের পেনাল্টি গোলে ২-০ এগিয়ে যায় ভারত। কিন্তু সুন্দর খেলায় বাধাপ্রাপ্ত হয়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ধুন্ধুমার। থ্রো-ইন কার এই নিয়েই ঘটনার শুরু। পাকিস্তানের ৮ নম্বর জার্সির প্লেয়ার রাহিস নবি থ্রো-ইন নিচ্ছিলেন। টেকনিক্যাল এরিয়ায় ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ দাবি করেন, ভারতের থ্রো-ইন। নেপালের রেফারি কিছু বুঝে ওঠার আগেই নবির হাত থেকে বল ফেলে দেন স্টিমাচ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উত্তেজনা হবে, এমনটাই স্বাভাবিক। তবে স্টিমাচ সেই ভুল না করলে হয়তো এমন কিছু হত না। পাকিস্তান বেঞ্চ থেকেও তাদের কোচের মন্তব্য ভেসে আসে। ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ফুটবলাররা। মারমুখী হয়ে ওঠেন পাক প্লেয়াররা। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী পুরো বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করছিলেন। দ্রুত তা থেমেও যায়। প্লেয়াররা ফের খেলার জন্য প্রস্তুত। নেপালের রেফারি অবশ্য বিষয়টি কড়া হাতেই সামলান। রেড কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচকে। পাশাপাশি পাকিস্তান কোচকেও হলুদ কার্ড দেখান। বাকি সময় ভারতীয় দলকে সাপোর্ট দেন সহকারি কোচ মহেশ গাওলি। তীয়ার্ধের খেলা শুরুর সময় ফের সমস্যা। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন এক সমর্থক। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর দিকে দৌড় লাগান। খেলা শুরুর মুহূর্তে এমন ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ে। নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত তাঁকে মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।