কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মাঝেই এবার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। ১১ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এসএসসি। আদালতের নির্দেশ মেনে ১ হাজার ১০০ চাকরিপ্রার্থীকে তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনলাইনে জমা দিতে হবে বলে ওই নোটিসে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক বাদে উচ্চ প্রাথমিকে মোট ১,১০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে সরকারি ও সরকার অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি কাটছে জট?
এসএসসি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে যে সকল প্রার্থীরা ইন্টারভিউতে ডাক পাননি তাঁরা ৫ অগাস্ট থেকে ১৩ অগাস্টের মধ্যে অনলাইনে তাঁদের নথি আপলোড করতে পারবেন৷ হাই কোর্টের নির্দেশেই এই তৎপরতা৷ দীর্ঘ দিন নিয়োগ পর্ব থমকে ছিল৷ ২০১৪ সালে আপার প্রাইমারির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়৷ পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে৷ পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে ফল বের হয়৷ মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও নানা অনিয়মের অভিযোগ ৮ বছর ধরে অধরা ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সার্ভার রুম খুলে গিয়েছে৷ নথি আপলোডের পর সামগ্রিক ভাবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ ইন্টারভিউ-এর পর নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে৷
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুরু হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ডেটা রুম বন্ধ করা ছিল। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানিয়ে সেই ‘ডেটা রুম’ খোলার জন্য কমিশনের তরফে ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার-কে চিঠি দেওয়া হয়। সেই সার্ভার রুম খোলা হলেও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এনআইসি ও সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে সেখানে কাজ করতে হবে বলে জানান এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, গত ১৮ মে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ে ডাক না-পাওয়া যে সকল প্রার্থী নানা কারণে নথি আপলোড করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন, আগে তাঁদের নথি আপলোড করতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইন্টারভিউয়ে প্রথমে ডাক না-পাওয়া যে সকল প্রার্থী পরে শুনানিতে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তাঁদের তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মর্মেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল৷