নিয়োগ দুর্নীতির তালিকায় এবার ট্রাম কোম্পানিও

এবার দুর্নীতির অভিযোগের তালিকায় নতুন সংযোজন। তালিকায় যোগ হল ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়া। সিটিসিতে একাধিক বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ শাসকদলেরই শ্রমিক নেতা অঙ্গদকুমার রাই।
সূত্রের খবর, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তৎকালীন বাম সরকারের তরফ থেকে। সেখানে বলা হয়েছিল অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে যারা ১০ বছরের বেশি কাজ করেছেন তাঁদের স্থায়ীকরণ করা হবে। সেই মতো ১০১০ জনকে নিয়োগ করা হয়। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ৬৩ জন এমন কর্মচারী রয়েছেন যাঁরা ১০ বছরের বেশি কাজ করেননি অথচ, পরবর্তীতে তাঁরা স্থায়ী হয়েছেন।
এই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে পালাবদল ঘটে বঙ্গ রাজনীতিতে। এরপরই পরে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি না করেই নিয়োগ শুরু করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে অস্থায়ীদের স্থায়ী করা হয়। এরই পাশাপাশি এ অভিযোগও তৃণমূলের ওই শ্রমিক নেতা করছেন যে, তৃণমূলের আমলে প্রায় পাঁচশোর বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন আধিকারিক পদমর্যাদার।
এই প্রসঙ্গে সিটিসি ট্রাম মজদুর সভার সেক্রেটারি অঙ্গদকুমার এও জানান, এই অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে তাঁদের মধ্যেই এমন এমন আধিকারিক রয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প কোম্পানিতে অভিযোগ জানালেও তদন্ত হবে না। কারণ ওদের নিয়োগই হয়েছে অবৈধ প্রক্রিয়ায়।’ এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অঙ্গদকুমার আবার ইতি সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন।
এদিকে এই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানির চেয়ারম্যান মদন মিত্র। একইসঙ্গে সিটিসির নিয়োগ নিয়ে তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। এই প্রসঙ্গে মদন মিত্র এও জানান, ‘২০১০ থেকে এটা শুরু হলে তাহলে দায় বামফ্রন্টের। আর যদি ২০১৬ পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহেল দায় শুভেন্দুর। তারপর আর কিছু হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কারণ, তারপর আর তো নিয়োগই হয়নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 9 =