অবিশ্বাস্য। কলকাতা নাইট রাইডার্স সমর্থকদের কাছে চূড়ান্ত হতাশার। সহজ ম্যাচ কী করে হারতে হয়, যেন সেটাই করে দেখাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। এটা যেমন মানতে হবে, তেমনই কেকেআর ব্য়াটারদের হারাকিরিও অস্বীকার করার জায়গা নেই। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম স্কোর নিয়ে জেতার রেকর্ড তৈরি হল। মাত্র ১১১ রানের পুঁজি নিয়ে নাইট রাইডার্সকে ১৬ রানে হারাল পঞ্জাব কিংস।
টস জিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সবই জানা। তেমনই কলকাতা নাইট রাইডার্সও শ্রেয়সের সম্পর্কে সবই জানেন। কিন্তু কোনও হিসেবেই মিলছিল না। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাবের দুর্দান্ত শুরু। দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য এবং প্রভসিমরন সহজ ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু হর্ষিত রানার স্পেলে সব বদলে যায়। মিডল ওভারে বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিনের কেরামতি। মাত্র ১১১ রানেই অলআউট পঞ্জাব কিংস। তখন কেই বা জানত, আইপিএলে ইতিহাস গড়তে চলেছে পঞ্জাব কিংস!
এর আগের ম্যাচেই ২৪৫ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে পারেনি পঞ্জাব কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স। সেই পঞ্জাব কিংসই জিতল ১১১ রানের পুঁজি নিয়ে! অথচ এমন পরিস্থিতি কেউ কল্পনাই করতে পারেননি। শুরুতে দুই ওপেনারকে হারালেও অজিঙ্ক রাহানে ও অংকৃষ রঘুবংশী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যুজবেন্দ্র চাহাল আক্রমণে আসতেই অঘটন। অজিঙ্ক রাহানেকে লেগ বিফোর করেন। যদিও রাহানে রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। বলের ইমপ্যাক্ট অফসাইডের বাইরে। তরুণ ব্যাটিং পার্টনার রঘুবংশীর সঙ্গে আলোচনাও হয়। তখনও দুটো রিভিউ বাকি। রাহানে নেননি। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল, কিছুক্ষণের মধ্যেই জায়ান্ট স্ক্রিনে ধরা পড়ে।
রাহানের আউটের সঙ্গেই খেই হারায় কেকেআর। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং বিপর্যয়। ৬২-২ থেকে দ্রুতই ৭৯-৮ হয়ে যায় কেকেআর। চাহালের ওভারে দুটো ছয় ও একটি বাউন্ডারি মেরে ফের ক্ষীণ আশা জাগিয়ে তোলেন রাসেল। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। মাত্র ৯৫ রানেই অলআউট কেকেআর।