যাদবপুর কাণ্ডে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল তার ফের পুনর্নির্মাণ হল সোমবার। এদিন ডামি পুতুল নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করতে দেখা যায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের। এর আগেও পুনর্নির্মাণ হয়েছে। এদিন ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থলে। এদিন ডামি ডল নিয়ে চলে পুনর্নির্মাণ। মৃত পড়ুয়ার শরীরের আনুমানিক ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী একটি ডামি পুতুল নিয়ে যাদবপুরের মেন হস্টেলে যান আধিকারিকরা। হোস্টেলের এ-২ ব্লকে পুনর্নির্মাণ হয়।
এখানে বলে রাখতেই হয়, যাদবপুর মেন হস্টেলের এ-১ ব্লকের ১০৪ নম্বর রুম। প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়াকে ঘটনার দিন এই ঘরে নিয়ে গিয়ে চিঠিতে সই করানো হয়েছিল বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে এই ব্লকেরই ৬৮ নম্বর ঘরে ওই ছাত্র থাকত। হস্টেলের তিনতলার ৬৮ নম্বর ঘর, চারতলায় ১০৪ নম্বর ঘর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ১০৪ নম্বর ঘরে ছেলেটিকে নিয়ে গিয়ে অন্য এক ছাত্রনেতার নামে চিঠি লেখাতে বাধ্য করা হয়। যদিও তদন্ত চলার পর জানা যায়, দীপশেখর নামে ধৃত আরেক পড়ুয়া সেই চিঠি লিখে দেয়। তাতে সই করে ওই প্রথমবর্ষের ছাত্র। সই করানোর পর আবারও ৬৮ নম্বর ঘরে ফিরিয়ে আনা হয়।
অভিযোগ, এরপর সেই ঘরে চলে অকথ্য নির্যাতন। অভিযোগ, সেই নির্যাতন সহ্য করতে পারেনি বিএ প্রথমবর্ষের ওই ছাত্র। এরপর পাশেই এ-২ ব্লকের বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যায় সে। এদিকে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের কাছে এ তথ্যও রয়েছে, এখানে আসার প্রথমদিন থেকেই ওই ছাত্রের উপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। তবে এখন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের একটাই লক্ষ্য, এই ঘটনা খুন, দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা খুঁজে বের করা।