করোনা আবহে দুবছর পর বাচ্চারাও স্কুলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চিন্তাও বাড়ছে মায়েদের। কী দেবেন বাচ্চার টিফিন বক্সে। যাতে খাবার ফেলে না দেয়। তাছাড়া রোজের এক খাবার দিলে মুখেও রুচবে না।
বাচ্চার টিফিন বক্সে দেওয়ার জন্য রইল কিছু সহজ রেসিপি-
পাস্তা-রংচঙে খাবার বাচ্চারা ভালবাসে। তাই ওদের খাবারটাও তেমনই হতে হবে। নুন ও তেল দিয়ে পাস্তা সেদ্ধ করে জল ঝড়িয়ে নিন। এবার কড়াইতে মাখন বা একটু সাদা তেল দিয়ে সামান্য রসুন কুঁচি হাল্কা স্যতে করে নিন। তারপর পেঁয়াজ ও একে একে কড়াইশুটি, গাজর বা বাঁধাকপি দিন। এতে যোগ করুন সুইট কর্ন। সবজি হাল্কা স্যতে হয়ে গেলে টমেটো পিউরি নুন, স্বাদমতো চিনি দিয়ে দুমিনিট হাল্কা আঁচে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেদ্ধ করা পাস্তা দিয়ে টস করে নিন।ওপর থেকে দিন টমটো শস।ছড়িয়ে দিন গোলমরিচ। এগুলো কিন্তু বাচ্চারা ঠিক খেয়ে নেবে।
পালং শাকের পরোটা-
পালং শাক সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে পেস্ট করে নিন। সবুজ পেস্ট দিয়ে আটা মেখে নিন অল্প ময়ান দিয়ে। তারপর ঘি বা মাখন দিয়ে সেঁকে দিন।সবুজ পরোটা কিন্তু দেখেই বাচ্চারা খেতে চাইবে।টিফিন বক্সে পরোটার সঙ্গে শস দিতে পারেন বা মেয়োনিজের সঙ্গে টমটো শস মিশিয়ে দিতে পারেন।
রুটি আলুভাজা রোল–
বাচ্চারা রুটি দিলে এমনিতে খাবে না। তাই রুটিতে মাখন বা ঘি মাখিয়ে ভেতরে আলু ভাজা ভরে রোল পাকিয়ে দিন।এর সঙ্গে দিন একটু আচার। দেখবেন ঠিক খেয়ে নেবে।সঙ্গে শসা, ফলের টুকরোও দেবেন অবশ্যই।
চটপটা আলুকাবলি- আলু, ছোলা, মটর সেদ্ধ করে নিন। তারপর নুন, গোলমরিচ, লেবুর রস মাখিয়ে দিন। স্বাদ বাড়াতে বাড়িতে জিরে ও শুকনো লঙ্কা ভেজে গুঁড়িয়ে রাখুন। সেটাই মিশিয়ে দিন আলুকাবলিতে।