উধাও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী–সহ ২২ শিব সেনা (Shiv Sena) বিধায়ক। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বে বিধায়করা ঘাঁটি গেড়েছে গুজরাতের একটি হোটেলে। তাঁদের দলবদলের সম্ভাবনা তুঙ্গে। কেউ কেউ আবার বলছে, দলবদল নয়, বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন তাঁরা। এমনকী, এই বিদ্রোহী বিধায়করা শিব সেনাকে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে বলেও দাবি সূত্রের। দু’টির মধ্যে যে ঘটনাই ঘটুক না কেন, সংকটে পড়বে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে অঘাড়ি জোট। আরও একবার মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার দাবি জানাবে বিজেপি।
এরপরই তড়িঘড়ি বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডেকে মঙ্গলবার বিধানসভার দলনেতার পদ থেকে সরিয়েছেন শিবসেনা প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডের স্থানে নয়া দলনেতা হয়েছে অজয় চৌধুরী। এরপরই
বিজেপির সমর্থনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কুর্সির দিকে হাত বাড়াতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। মঙ্গলবার সকালেই বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অমিত শাহ। এদিকে নাড্ডা এবং শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশেরও। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে শরদ পাওয়ারের ডাকা বিরোধী বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে পারে শিব সেনা।
এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার অভিযোগ করেছেন, মহারাষ্ট্রে বিধায়ক কিনে উদ্ধব সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।’ প্রসঙ্গত, ২০১৯–এর বিধানসভা ভোটের পর শরদের বিদ্রোহী ভাইপো অজিত পাওয়ারের সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ফের শরদের শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত। সবমিলিয়ে আরব সাগরের তীরের রাজ্য রাজনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসন ২৮৮। একজনের মৃত্যুর পর আপাতত বিধায়কের সংখ্যা ২৮৭। এমন পরিস্থিতিতে আস্থা ভোট হলে জিততে প্রয়োজন ১৪৪টি ভোট। অঙ্কের হিসেব বলছে, অঘাড়ি জোটের ঝুলিতে রয়েছে ১৫২ জন বিধায়ক। যার মধ্যে রয়েছেন শিব সেনার ৫৬ জন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ২২ জন দলবদল করতে পারেন কিংবা বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে জোটের বিধায়ক সংখ্যা হবে ১৩০।