বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে বিরোধীরা বিঁধলেও প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর গলায়

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট মোদি সরকারের।  বাজেটের আগেই বিরোধীদের সরব হতে দেখা গিয়েছিল মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। সেক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের প্রত্যাশাপূরণ অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নির্মলা সীতারমণের জন্য। এদিন তাঁর বাজেটের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল নতুন করকাঠামো অনুযায়ী আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি। এদিন বাজে পেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ‘এই বাজেট সাধারণ মানুষ, গরিব এবং শ্রমিকদের কথা ভেবে করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘দেশের নির্মাতা বিশ্বকর্মা। আমরা সবসময় বিশ্বকর্মাদের পাশে রয়েছি।’ সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এও জানান, ‘আমাদের সরকার মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ট্যাক্স রেট কমানো হয়েছে।’

তবে এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা এই বাজেট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি জানান, ‘এই বাজেটে কোনও আশার আলো নেই। মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের জন্য এই বাজেট নয়। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ বাজেটে লাভ পেয়েছে।’ পাশাপাশি করছাড়ের বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা।এরই পাশাপাশি বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও। উল্টোদিকেনির্মলার বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী মনে করেন এই বাজেটে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাওয়া সাতটি ক্ষেত্রকে।  ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি।’ এরই পাশাপাশি এদিনের অর্থমন্ত্রীর পেশ করা এই বাজেটের সাতটি উল্লেখযোগ্য দিকও তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, কৃষিপরিকাঠামো উন্নতির জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি। অন্যদিকে, নতুন ট্যাক্স রেজিমে আয়কর ছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করার বিষয়টিতে জোর দেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও জানান, এর ফলে মধ্যবিত্তের অনেক সুবিধা হবে।

এদিকে বাজেট প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব জানান, ‘নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। সরকার শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের কোনও মন্তব্য করেনি। এই বাজেট অত্যন্ত হতাশাজনক।’

এবারের বাজেট নিয়ে পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি জানান, ‘গত আট থেকে নয় বছরের বাজেটের সঙ্গে এই বাজেটের কোনও বিশেষ তফাত নেই। উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিছু পুঁজিপতি এবং বড় ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই বাজেট করা হয়েছে।’ তবে এদিনের বাজেট নিয়ে শশী থারুর জানান, ‘কেন্দ্রীয় বাজেটে কিছু কিছু ভালো বিষয় রয়েছে।‘ পাশাপাশি এও জানান, ‘মনরেগা প্রকল্পের আওতায় ১০০ দিনের কাজে যুক্তদের জন্য কোনও কথা বলা হয়নি বাজেটে। গরিব শ্রমিক, বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়ে কোনও দিশা নেই। মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও কোনও বক্তব্য রাখা হয়নি এই বাজেটে। কিছু এখানে কিছু মৌলিক প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − twelve =