দত্তপুকুরে ব্যবহার করা হচ্ছিল আরডিএক্স, বিধানসভায় এমনটাই বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রবিবারের এই ঘটনার পর সোমবার বিস্ফোরণ-কাণ্ডের আঁচ পড়ে বিধানসভা কক্ষেও। এদিন দত্তপুকুর, এগরা ও বজবজ সহ তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, অবৈধ বাজি বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। বাজি কারখানা বন্ধ নিয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এরপর বিধানসভা কক্ষেই কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করে বিজেপি। বাইরে বেরিয়ে এসে চলে সরকার বিরোধী স্লোগান-বিক্ষোভ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গুরুতর অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেন, ‘এই ঘটনায় আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে।‘ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এমনকী কংক্রিটের ছাদ উড়ে গিয়েছে। বিজেপি-র পক্ষ থেকে আমরা বেশ কয়েকজন বিধায়ক এখানে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলাম। আশা করেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী টিএমসিপি-র ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখার আগে এই ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা তিনি জানাবেন। কিন্তু দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির বাইরে বের হতে পারেননি। এই রাজ্যে পরপর মানুষ মারা যাচ্ছে। গত ছমাসে এগরা , বজবজ, মালদা সর্বোপরি রবিবারের ঘটনায় প্রান্তিক মানুষ মারা গিয়েছেন। এই সরকার উত্তর দিতে রাজি নয়।’
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা এগরার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘খাদিকুলের বিস্ফোরণের পর রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন বাজির এত কারখানা আছে জানতাম না। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হয়েছে। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই ঘটনা আর হবে না।’ আর এখানেই শুভেন্দুর অভিযোগ, এই ঘটনার পরও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে রবিবারের বিস্ফোরণের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। এতে আরডিএক্স ব্যবহার হয়েছে। এরই রেশ টেনে শুভেন্দু এও জানান, ‘বাজি কারখানার মালিক ও তাঁর ছেলে তৃণমূল করে। ওরা জানত ঘটনাস্থলে বিজেপি বিধায়করা যাবেন। সেই কারণেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’