বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু’প্লেসিসদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছেও অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন ডেভিড ওয়ার্নারদের। শনিবার দিল্লিকে ২৩ রানে হারিয়ে দু’ম্যাচ পর জয়ের সরণিতে ফিরল আরসিবি।
এদিন বেঙ্গালুরুতে শনিবার টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল তা প্রমাণিত হয় আরসিবির ব্যাটিং-এ শুরুয়াৎ দেখেই। বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ ডু’প্লেসিস শুরুটা ভালই করেন। ফ্যাফ ২২ রানে আউট হলেও বিরাট ৩৪ বলে ৫০ রান করেন। তবে হাফসেঞ্চুরি করে কোহলি ফিরতেই একে একে অন্যরাও প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন। লোমরোর (২৬), ম্যাক্সওয়েল (২৪), হর্ষল (৬)-দের ইনিংস মোটেই আশাপ্রদ নয়। এদিন ফের ব্যর্থ কার্তিক। প্রথম বলেই ফেরেন তিনি। শেষদিকে বাংলার শাহবাজ ১২ বলে ২০ রান করায় ১৭৪ রানের একটা সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায় আরসিবি।
এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দিল্লির ব্যাটিং। মাত্র ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে তারা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি। আসলে এবছর শুরু থেকেই দিল্লির ব্যাটসম্যানরা মোটেই ভাস পারফর্ম করতে পারছেন না। অধিনায়ক ওয়ার্নার এতদিন সামাল দিচ্ছিলেন। এদিন তিনিও ব্যর্থ। দিল্লির গোটা টপ অর্ডারে মণীশ পাণ্ডের হাফসেঞ্চুরি ছাড়া উল্লেখযোগ্য কেউই কিছু করেননি। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল, আমন খান, নখিয়ারা চালিয়ে খেলে হারের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পেরেছেন, তার বেশি কিছু নয়। ইনিংস শেষ হল ৯ উইকেটে ১৫১ রানে। ফলে আরসিবির কাছে দিল্লিকে হারতে হল ২৩ রানে। বল হাতে আরসিবির হয়ে দাপট দেখালেন তরুণ ভিস্ক (৩-২০) এবং সিরাজ (২-২৩)।
এই নিয়ে চলতি মরশুমের পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিই হারল দিল্লি। আর আরসিবি শেষ দুটি ম্যাচে হেরেছিল। এদিন শেষমেশ জয়ে ফিরল তাঁরা। জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে ৭ নম্বরে উঠে এল আরসিবি। আর দিল্লি এখনও তলানিতে।