চেন্নাই দুর্গে ইতিহাস আরসিবির

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টানা দু-ম্যাচে জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। আর এই জয়ে বাড়তি তৃপ্তি। আইপিএলের ইতিহাসে দীর্ঘ ১৭ বছর পর চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্করণ অর্থাৎ ২০০৮ সালে চেন্নাইয়ের মাঠে জিতেছিল আরসিবি। এরপর থেকে শুধুই হতাশা। আরসিবির কাছে চেন্নাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল। অবশেষে সেই খরা কাটল। চিপকে ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় আরসিবির। চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকদের কাছে প্রাপ্তি ধোনি ১৬ বলে ৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে অপরাজিত।

ঘরের মাঠের পরিস্থিতি ভালো জানবেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই ক্যাপ্টেন। তাঁর সিদ্ধান্তকে ভুল বলা যায় না। বোলাররা অনবদ্য পারফর্ম করেছে। পরের দিকে শিশিরের প্রভাবও ছিল। কিন্তু টার্গেটটা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। চেন্নাইয়ের ফিল্ডিং এদিন স্বস্তি দেয়নি। একাধিক ক্যাচ ফসকেছে। প্রাথমিক কারণ সেটা। চেন্নাইয়ের টার্গেটটা হয়তো ১৮০-র মধ্যেও থাকতে পারত। কিন্তু শেষ ওভারও ভালো বোলিং হয়নি।

নুর আহমেদ, পাথিরানা দুর্দান্ত বোলিং করেন। আরসিবি ইনিংসের ১৯তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মাতিসা পাথিরানা। সে সময় ১৭৭ রানে ছিল আরসিবি। এই স্কোর নিয়ে লড়াই হয়তো কঠিন হত বেঙ্গালুরুর। শেষ ওভারে বোলিং করেন স্যাম কারান। আর তাতেই বাজিমাত করেন আরসিবির পাওয়ার হিটার টিম ডেভিড। ইনিংসের শেষ ওভারে আসে ১৯ রান! যে কারে চেন্নাইয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৯৭। প্রায় ২০ রানের পার্থক্য মানসিক ভাবেও চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট।

আরসিবি জার্সিতে এদিন অভিষেক হয়েছে ভুবনেশ্বর কুমারের। নতুন বলে অনবদ্য ভুবি। পার্থক্য গড়ে দেন জশ হ্যাজলউডও। মাত্র ২৬ রানেই তিন উইকেট হারায় চেন্নাই। পার্টনারশিপ গড়তে দেননি আরসিবি বোলাররা। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্য়ালারির কছে সেটাই ছিল দুর্দান্ত মুহূর্ত। তখন ম্যাচ হাতের বাইরে। শেষ ৪ ওভারে ৯৬ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। হারের ব্যবধান যতটা কমানো যায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + two =