প্রতিটি ম্যাচই নকআউট। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, দিল্লি ক্যাপিটালস প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রয়োজন ছিল একটা বড় জয়ের। আরসিবি ব্যাটিং লাইন আপের যা পরিস্থিতি তাতে টপ থ্রিই ভরসা। বেশ কিছু ম্যাচেই দেখা গিয়েছে বিরাট, ফাফ, ম্যাক্সওয়েল ফিরলে ম্যাচ জেতানোর লোকের অভাব। এখন শেষ দিকে আর সেই ঝুঁকি নিলেন না আরসিবির দুই ‘ক্যাপ্টেন’। বিরাট কোহলি গত দু-ম্যাচে রান পাননি। বোর্ডে ১৮৭ রানের লক্ষ্য। প্রয়োজন ছিল একটা মজবুত জুটির। সেটাই করে দেখালেন বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে যোগ করলেন ১৭২ রান। শেষ ওভার অবধি ম্যাচ গড়ালেও ৮ উইকেটে জয়ী আরসিবি। কোহলি ধরা দিলেন বিরাট অবতারে। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী ফ্যাফ ডু প্লেসিও চেনা ছন্দে ছিলেন। আর এই দুই তারকা চলতে শুরু করলে আরসিবি-কে রোখে কার সাধ্যি! সানরাইজার্স হায়দরাবাদও পারেনি। কোহলি হাঁকালেন ‘বিরাট’ সেঞ্চুরি। এবারের আইপিএলে তাঁর প্রথম শতরান। কিন্তু আইপিএলের ইতিহাসে তিনি এবং ক্রিস গেইল একই বন্ধনীতে। দু’ জনের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৬। ৯৪ থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে কোহলি সেঞ্চুরিতে পৌঁছন এদিন। কিন্তু সেঞ্চুরির পরের বলেই তাঁকে ফিরতে হয়। তিনি নিজেও হতবাক হয়ে যান। হয়তো ভেবেছিলেন তাঁর মারা শটটা গ্যালারিতে আছড়ে পড়বে। কোহলির ৬৩ বলে ১০০ রানের ইনিংসটা অনেকেই মনে রাখবেন বহুদিন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করে গেলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। ১৭২ রানে প্রথম উইকেট যায় আরসিবি-র। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ডু প্লেসি ফেরেন ৭১ রানে। বাকি কাজটা সারেন ম্যাক্সওয়েল ও ব্রেসওয়েল। দুরন্ত এই জয়ের ফলে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় আরসিবি পাঁচ নম্বর থেকে উঠে এল চারে। চার থেকে পাঁচে নেমে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। উল্লেখ্য, এখনও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে আরসিবি-র। তাদের রান রেটও বেশ ভাল। বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তোলে পাঁচ উইকেটে ১৮৬ রান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পিছনে রয়েছে ক্লাসেনের দুরন্ত সেঞ্চুরি। ৫১ বলে ১০৪ রান করে ফিরে যান ক্লাসেন। আটটি বাউন্ডারি ও ছ’টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ক্লাসেন ছাড়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাকি ব্যাটাররা ভাল রান পাননি। হ্যারি ব্রুক ১৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থেকে যান। ক্লাসেনের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ম্লান হয়ে যান বাকিরা। আরসিবি বোলাররাও ক্লাসেনকে থামানোর উপায় খুঁজে পাননি।