আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম বার ওয়াংখেড়ের মাঠে নেমেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে। দুর্দান্ত বোলিং ব্রিগেড। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবারের ম্যাচে হার্দিকদেরই এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে চেনা ওয়াংখেড়ের মাঠে ফেরাটা সুখের হল না হার্দিকের। গুজরাটের দুরন্ত বোলিং ব্রিগেডের সামনে একা কুম্ভ হলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর শতরানে মুম্বই তুলল রানের পাহাড়। ২১৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে প্রথম থেকেই নড়বড়ে দেখায় গুজরাটকে। দ্বিতীয় ওভার থেকে উইকেট খোয়াতে শুরু করে গুজরাট। প্রথমেই পিছিয়ে পড়ে যায় গুজরাট। টাইটান্সকে ম্যাচে ফেরানোর প্রবল চেষ্টা চালালেন রশিদ খান। গুজরাট টাইটান্সের স্পিনারের ব্যাটে ৭৯ রানের দুরন্ত ইনিংস। যদিও ২১৯ রানের স্কোর টপকানো সম্ভব হল না। ২৭ রানে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বই ইনিংসে সূর্যকুমার যাদব ৩২ বলে অর্ধশতরান হাঁকান। সেঞ্চুরি হাঁকাতে নিলেন আর মাত্র ১৭টি বল। ৪৯ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস। আইপিএলের প্রথম শতরান হাঁকানোর পাশাপাশি মুম্বইয়ের স্কোর পৌঁছে দেন ২১৮ রানে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সামনে বড় রানের লক্ষ্য রাখে মুম্বই। সামনে ২১৯ রানের লক্ষ্য। পাওয়ার প্লে ওভারে তিন উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল গুজরাট। ঋদ্ধি, হার্দিক ও শুভমন গিল ফেরেন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বিজয় শঙ্করকে ফিরিয়ে মোক্ষম ধাক্কা দেন পীয়ুষ চাওলা। ডেভিড মিলার চেষ্টা করেছিলেন। ডানহাতি পেসার আকাশ মাধওয়াল বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন মিলার। তিন উইকেট নিলেন আকাশ মাধওয়াল। তবে রশিদ খানের লড়াই মনে থাকবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। রোহিত শর্মাদের চমকে দিয়েছিলেন তিনি। বল হাতে বিপক্ষকে চমকে দেওয়া তাঁর বাঁয়ে হাত কা খেল। এদিন ব্যাট হাতেও অনবদ্য রশিদ। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করলেন চাপের মুখে অনবদ্য ইনিংস এল রশিদ খানের ব্যাটে। রোহিত শর্মাদের ঘাবড়ে দিয়েছিলেন আফগান স্পিনার। রোহিতদের অনায়াসে জয়ের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন রশিদ। গুজরাটের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিন রশিদের ব্যাট জ্বলে উঠল। ৩২ বলে অপরাজিত ৭৯ রান। ১০টি ছয় ও তিনটি চার হাঁকালেন। গুজরাটের স্কোর টেনে নিয়ে গেলেন ১৯১ পর্যন্ত। টাইটান্স হারলেও উজ্জ্বল রশিদ।