বিরলতম অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: বিরলতম অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করিয়ে দেশকে তাক লাগিয়ে দিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ এই বিষয়ে সংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরû দাবি, এই অস্ত্রোপচারের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মলয় সরকারের দাবি, জরায়ুতে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। তারপর অন্য একটি শিশুর জন্ম দেওয়াটা খুবই ঝুঁকির হয়ে যায়। কারণ, এই সময়ে সংক্রমণের ব্যাপক ভয় থাকে। তারপর শিশুটি পরিণত হওয়ার সময়ও লাগে। তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই অসাধ্যসাধন করেছে মেডিক্যাল। ১১ জুলাই ভর্তি রোগী সফলভাবে সন্তান প্রসব করেন ১৪ নভেম্বর, শিশু দিবসের দিন। সিজার করে শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখান চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে একইভাবে টেস্ট টিউবে মা হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এবার তাঁর পেটে আসে যমজ সন্তান। কিন্তু, অন্তঃস্বত্তার ১৭ সপ্তাহে জুলাই মাসের ১১ তারিখ রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। গাইনি বিভাগে পরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখ একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর পরস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। পেটে দ্বিতীয় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েন চিকিৎসকরা। কিন্তু, তাঁরা হাল ছাড়েননি। টানা ১২৫ দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে। এরপর ১২৬ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার তিনি যমজ সন্তানের দ্বিতীয়টির জন্ম দেন। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৯০৬ গ্রাম। মা এবং শিশু দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। এই অস্ত্রোপচারের গোটা প্রক্রিয়ায়টি ১০ জন চিকিৎসকের একটি দল করেন বলে জানান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − three =