গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা রনিল বিক্রমসিংঘের

আর্থিক সংকট অব্যাহত শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে সর্বদলীয় বৈঠকে ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘে (Ranil Wickremesinghe)।

গত মে মাসে পদত্যাগ করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এরপরই  ৭৩ বছরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিক্রমাসিংঘে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। অবশেষে শনিবার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনিও। তিনি জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথ গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ তাঁর।দীর্ঘ সময় ধরে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া অস্থিরতার পরে অবশেষে বিক্রমাসিংঘের দায়িত্বলাভের মধ্যে দিয়ে সুদিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী। এবার দেখার, তাঁর ইস্তফার পরে পরবর্তী সরকার গঠনের দিকে কীভাবে এগোয় কলম্বো।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সর্বদলের সরকার গঠন যাতে করা যায়, সে কারণেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন বিক্রমসিংঘে। দ্বীপরাষ্ট্রের সংকট কাটাতে শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিকভাবে ধ্বস্ত শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন বিক্রমসিংহঘে। কিন্তু তার পরও শ্রীলঙ্কার সংকটময় পরিস্থিতির বদল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতা সাজিত প্রেমদাসা।

অন্য দিকে, শুক্রবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে বিক্ষোভ নতুন চেহারা নিয়েছে। রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এর আগেই প্রেসিডেন্টকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছুড়ে, শূন্যে গুলি ছুড়েও তাদের রুখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। একটি অংশের দাবি, তাতেই আরও উত্তপ্ত হয় জনতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 12 =