নিজস্ব প্রতিবেদন, রানিগঞ্জ: কয়েকদিন আগে রানিগঞ্জের একটি নামজাদা সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মণ্ডলের দুঃসাহসিক লড়াইয়ের কারণে ডাকাত দল প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিতে ব্যর্থ হয়। মোট সাতজন ছিল সেই ডাকাত দলে। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয় মেঘনাথ মণ্ডলের ছোড়া বুলেটে। এই ডাকাতির ঘটনায় ঝাড়খণ্ড ও বিহারের যোগ মেলে। ইতিমধ্যেই গুলিবিদ্ধ সোনু সিং সহ মোট দু’জনকে গ্রেপ্তার করে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। ডাকাতি হওয়া সোনার গয়না কিছু উদ্ধার হয়। কিন্তু ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে যারা ডাকাতি করতে এসেছিল, তাদের সঙ্গে স্থানীয় কার যোগ ছিল, বা কেউ তাদের হয়ে খবরিলালের কাজ করছিল বলে সন্দেহ হয় পুলিশের।
রবিবার ডাকাতির ঘটনায় দক্ষিণখণ্ডের জয়পুরিয়ার বাসিন্দা শশী মালি নামে এক খবরিলালকে আটক করে অণ্ডাল থানার পুলিশ। এই শশী মালির অণ্ডালের কাজোড়া মোড়ে একটি ফুলের দোকান আছে বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়ি থেকেই অণ্ডাল থানার পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তা হলে কি এই শশী মালি স্থানীয় সূত্র হিসেবে কাজ করেছিল? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অণ্ডাল ও রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে শশী মালি জড়িত কিনা, সে বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা কিছুই জানেন না বলে দাবি। আপাতত অণ্ডাল থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে শশী মালিকে। তদন্তে আর কী কী তথ্য সামনে আসে এখন সেটাই দেখার।