ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর শেষ দিন ছিল রবিবার। বিদায় বেলায় রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) জানালেন, দেশবাসীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তাঁর সময়কালে প্রত্যেকের কাছ থেকেই সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাঁর বার্তা, একুশ শতকে প্রধান হয়ে উঠবে ভারত। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, প্রতিবাদ করা প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু তা গান্ধিবাদী মতাদর্শ মেনে করা উচিত। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।কাল শপথ নেবেন তিনি। তার আগে শনিবার সংসদে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তারপরে রবিবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
#WATCH | I believe that the National Education policy will go a long way in making it possible for young Indians to connect with their heritage… I firmly believe that our country is getting equipped to make the 21st century, the century of India: President Ram Nath Kovind pic.twitter.com/hScAyN4Lnh
— ANI (@ANI) July 24, 2022
কোবিন্দের মতে, নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির ফলে আরও অনেক এগিয়ে যাবে দেশ। তিনি বলেছেন, ‘দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুবসমাজকে যুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা নেবে জাতীয় শিক্ষা নীতি। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, একুশ শতক হবে ভারতেরই নামে।’ তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে প্রাকৃতিক অবস্থার কথাও। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে পরিবেশের যত্ন নেওয়া উচিত। তা না হলে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।’
রাজনৈতিক দলগুলিকে সংকীর্ণ রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে জাতির জনক গান্ধিজির আদর্শ উল্লেখ করে কোবিন্দ বলেছেন, ‘প্রতিবাদের অধিকার আছে সকলেরই। আমাদের জাতির জনকও সত্যাগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর উলটো দিকে থাকা মানুষের কথাও চিন্তা করেছিলেন তিনি। নিজেদের দাবি আদায় করার জন্য নাগরিকরা অবশ্যই প্রতিবাদ করবেন, কিন্তু তা যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে করা হয়।’