রেশনের গাড়ি আটকে চাল, গম খেল রামলাল

চিত্ত মাহাতো

দলছুট হওয়ার পর দীর্ঘ দু’বছর ধরে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জঙ্গলে রেসিডেন্সিয়াল হিসেবে থেকে যাওয়ায় এলাকার মানুষ দৈত্যকায় একটি দাঁতালের নাম রাখেন রামলাল। সোমবার সকাল আটটা নাগাদ সেই রামলালের তাণ্ডব দেখলেন শালবনির বাসিন্দারা। খাবারের খোঁজে পিড়াকাটার রঞ্জার জঙ্গলের রাস্তায় রেশন দ্রব্য সহ একের পর এক মালবাহী গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাবার লুট করল হাতিটি। সকাল আটটা থেকে নটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্তব্ধ করে দিয়ে গাড়ি থেকে চাল গম ও আটার বস্তা নামিয়ে আপন মেজাজে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাবাড় করল রামলাল। গত চারদিন ধরে মেদিনীপুর সদর ও শালবনির বিভিন্ন এলাকায় রামলাল নামের এই দল বিচ্ছিন্ন হাতিটি তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রামের আমজোড় ও কুণ্ডলডিহির অজিত মাহাতো ও বঙ্কিম মাহাতো নামে ২ গ্রামবাসীকে খুন করে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশ করেছে সে। তারপর থেকে একনাগাড়ে একের পর এক বাড়ি ভেঙে খাবার খেয়ে চলেছে হাতিটি। সোমবার সকালে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন গাড়ির কাচ ও বিভিন্ন অংশ ভেঙে চাল গম ও আটার বস্তা নামিয়ে রাস্তার উপর দিব্যি খেতে থাকে হাতিটি। রঞ্জার জঙ্গলের ভেতরের ওই সরু পিচ রাস্তা থেকে ভেতর দিয়ে পালাবার অন্য পথ না পেয়ে রামলালের সামনে আত্মসমর্পণ করতে হয় গাড়ির চালকদের। এরপরেই রেশন দ্রব্যের গাড়ি থেকে চাল গম ও আটার বস্তা শুড় দিয়ে টেনে নামায় হাতিটি। ঘণ্টা খানেক পর খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং সেখান থেকে হাতিটিকে অন্যত্র সরিয়ে দেন। এই ঘটনায় পিড়াকাটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খাবারের খোঁজে হাতিটি যে কোনও সময় লোকালয়ে এসে ফের হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় মেদিনীপুর বন বিভাগের পক্ষ থেকে ওইসব জঙ্গল রাস্তাগুলিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পথচারী ও যানবাহন চালকদের সতর্ক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 3 =