বেলুড়ে পালিত হল শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের জন্মমহোৎসব

বেলুড় মঠে পালিত হল শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের জন্ম মহোৎসব। রবিবার সকাল থেকেই বেলুড় মঠে শুরু হয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের জন্মমহোৎসব পালন। বেলুড় মঠের রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথির পরের রবিবার এই উৎসব পালিত হয়। এ বছর গত মঙ্গলবার ঠাকুরের ১৮৮ তম জন্মতিথি পালন হয়। এরপর রবিবার পালিত হচ্ছে জন্মমহোৎসব। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৮ তম জন্মতিথি। রাজ্যজুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হয় এই বিশেষ দিন। বেলুড় মঠে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় এই বিশেষ দিনটি। সকাল সাড়ে ৪টের সময় মঙ্গল আরতি দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলতেন, ‘ভক্তের জন্যই ভগবান।’ শুধু সাধন ভজন নয়, ভক্তের সঙ্গে ভগবানের মিলনও আবশ্যক। এমনিতেই নানা সমস্যা এবং মানসিক যন্ত্রণায় সদা ক্লিষ্ট থাকে ভক্তরা। বছরে একটা দিন মঠে যাতে সেই ভক্তদের মনোরঞ্জন-এর জন্য যদি কিছু আয়োজন করা যায় এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শ্রী মা। সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠের সবথেকে বড় উৎসব ঠাকুরের জন্মতিথির পরের রবিবার শুরু করেন মিলন উৎসব। যা জন্ম মহোৎসব নামে পরিচিত। দূরদূরান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ আসেন এই উৎসবে অংশ নিতে। ভোরবেলায় ঠাকুরের মন্দিরে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সকাল ৮ থেকে মূল মন্দিরের পাশে নির্মিত অস্থায়ী সভা মণ্ডপে সকাল থেকে শুরু হয় নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। ধর্মীয় মন্ত্রোচ্চারণ, ভজন, পদাবলী কীর্তন ইত্যাদি। তবে মঠের সবথেকে বড় আকর্ষণ সার্বজনীন মেলা। মঠের ভিতরে প্রাঙ্গণে বসে এই মেলা হরেক পসরা নিয়ে বসে বিক্রেতা।  এই মেলা শেষে আগে অন্যতম আকর্ষণ ছিল আতসবাজি প্রদর্শন। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে তা পরিবেশের কারণে বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ অন্তত ৫০ হাজার মানুষের জন্য ভোগের আয়োজন করেছে বেলুড় মঠ। করোনা কাল পেরিয়ে প্রায় তিন বছর পর বেলুড় মঠের সবথেকে বড় অনুষ্ঠান জন্ম মহোৎসব বা মিলন উৎসবে মেতে ওঠো বেলুড় মঠ।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 5 =