নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: কয়লা কারবারি রাজু ঝাঁকে খুনের ঘটনায় ধৃত কুন্দন কুমার সিং ওরফে যাদবকে হেপাজতে নিয়ে একটি ব্রেজা গাড়ি উদ্ধার করল সিট। ঘটনার ৬ মাস পর উদ্ধার হল গাড়িটি। কুন্দনকে নিয়ে ২৬ অক্টোবর বিহারের হাজিপুরে যায় সিট। সেখান থেকে ব্রেজা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুকে খুনের পর খুনিরা ব্রেজা গাড়িতে চেপে বিহারে পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে গাড়িটির নম্বর প্লেট বদল করা হয়। হেপাজতে থাকাকালীন কুন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও তারা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তকারীদের কাছে কুন্দন মুখ খোলেনি। ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সোমবার কুন্দনকে ফের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে আবারও হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায়নি পুলিশ। ধৃতের হয়ে কোনও আইনজীবী এদিন দাঁড়াননি। বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে ১৩ নভেম্বর তাকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝাঁ খুনে ইতিমধ্যেই ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। মামলাটি পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা আদালতে বিচারাধীন। এরই মধ্যে গত ২৯ আগস্ট নদিয়ার রানাঘাট থানার পুলিশ স্বর্ণবিপণিতে ডাকাতি করতে আসা কুন্দন সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় রাজু ঝাঁ খুনে কুন্দনের জড়িত থাকার কথা জানা যায়। এরপরই আদালতের অনুমতি নিয়ে রাজু ঝাঁ খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসার কুন্দনকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য ১৮ অক্টোবর পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর পুলিশ টিআই প্যারেডের আবেদন জানায়। আবেদনটি সিজেএম আদালতে পাঠিয়ে দেন পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। সিজেএম তদন্তকারী অফিসারের আবেদন মঞ্জুর করার পর বর্ধমান সংশোধনাগারে কুন্দনের টিআই প্যারেড করানো হয়। টিআই প্যারেডে প্রত্যক্ষদর্শী তাকে শনাক্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। টিআই প্যারেডের পর তাকে ১০ দিন হেপাজতে নেয় পুলিশ। হেপাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে ব্যবহৃত ব্রেজা গাড়িটির হদিশ পায় তারা।