কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো সহ আটজনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২৯ মে তাদের স্পেশাল কোর্টে তোলার নির্দেশ দেওয়াও হয়। গত শুক্র এবং শনিবার মিলিয়ে মোট ৮ জন কুড়মি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রত্যেকেরই রবিবার জামিনের আবেদন করা হয়। জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক।
এদিকে সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধেয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় হামলার ঘটনায় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো সহ চারজনকে রবিবার তোলা হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে। তিন দিনের পুলিশ হেপাজতে থাকা পর এদিন আরও চারজন নেতাকেও এদিন তোলা হয় আদালতে। সবার জামিনের আবেদন করা হলেও বিচারক সবার জামিন খারিজ করে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। সঙ্গে ২৯ শে মে পুনরায় তাদের স্পেশাল কোর্টে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত চত্বরে ঢোকার সময় রাজেশ মাহাতো জানান, ‘কিছু বলার নেই সব শান্তিপূর্ণ হোক।’ এরপর আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পর প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় তিনি বলেন ‘সাংবিধানিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, এ লড়াই চলবে।‘ আসামী পক্ষের আইনজীবী দেবনাথ চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার অনুপ মাহাত, মনমোহিত মাহাতো, অনিক মাহাত, অজিত মাহাতদের আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেপাজত হয়েছিল। তাঁদের আবার এদিন আদালতে তোলা হয়। তাছাড়া নতুন করে রাজেশ মাহাত, শিবাজী মাহাত, রাকেশ মাহাত, অনুভব মাহাতদের আদালতে তোলা হয়েছিল।’
অন্যদিকে, কুড়মি নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে আন্দোলনের ডাক দেয় কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজ মুখে বলেছেন এই আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে কুড়মি ভাইদের কোনও যোগাযোগ নেই, সেখানে কেন কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
আগামী দিনে গোটা জঙ্গলমহল এমনকি যেখানে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের বসবাস সব জায়গায় আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা। গত শুক্রবার রাতে গড়শালবনি এলাকায় হামলার মুখে পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি পেরিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ইট,পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুড়মি নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য জবাব দেওয়ার সময়ও দেন তিনি।