ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুটো হোম গ্রাউন্ডে খেলে থাকে রাজস্থান রয়্য়ালস। তাদের দ্বিতীয় হোম গ্রাউন্ড গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই পর্বে শেষ ম্যাচে নামছে রাজস্থান রয়্যালস। সামনে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বাধীন চেন্নাই জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল ঘরের মাঠে। যদিও চেন্নাই দুর্গে ফাটল ধরেছে গত ম্যাচে। ঘরের মাঠে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আরসিবির কাছে হেরেছে সিএসকে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোই টার্গেট। তাদের জন্য অবশ্য চমক অপেক্ষা করতে পারে।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে হাতে চোট পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। আপাতত তিনি শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলার অনুমতি পেয়েছেন। ফলে প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয়েছে রিয়ান পরাগকে। আজও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন ঘরের ছেলে রিয়ানই। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে এবং ঘরের মাঠে কেকেআরের কাছে হেরেছে রাজস্থান রয়্যালস। জোড়া হারের পর ঘরের মাঠে ঝুঁকি নেবে!
একটা সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সদ্য ১৪ বছরে পা দিয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। তাঁকে কি দেখা যেতে পারে? বয়সের ক্ষেত্রে আইসিসির নিয়ম রয়েছে, ১৫ বছরের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা যায় না। যদিও আইপিএলে এই নিয়ম নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি চায়, প্লেয়ার যদি রেডি থাকে, তাঁকে খেলানোর সিদ্ধান্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির। রাজস্থান রয়্যালস এ বারের মেগা অকশনে নিয়েছে বৈভব সূর্যবংশীকে। সে সময় তাঁর ১৩ বছর ছিল। রাজস্থান টিমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে প্র্যাক্টিসও করছেন। ফলে তাঁকে কোনও না কোনও ম্যাচে দেখা যেতেই পারে। হতেই পারে সেটা আজই!
চেন্নাই সুপার কিংস সহজে কম্বিনেশনে তড়িঘড়ি বদল করে না। এই ম্যাচেও সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে স্যাম কারানের গত দু-ম্যাচে যা পারফরম্যান্স তাতে পরিবর্তে ডেভন কনওয়েকে দেখা যেতেও পারে। সেক্ষেত্রে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে অংশুল কম্বোজকে খেলানো যেতে পারে। কিংবা বিজয় শঙ্করকে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হতে পারে রাহুল ত্রিপাঠিকেই। প্রশ্ন একটা থাকছে, রাহুল ওপেনিংয়ে ভরসা দিতে পারছেন না। ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ কি ওপেনিংয়ে ফিরবেন?