গ্রীষ্মের দাবদাহের পর দেরিতে হলেও এসেছে বর্ষা, আর প্রবেশের পর থেকেই চলছে ভারী বৃষ্টির দাপট। বিগত কয়েকদিন ধরেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে দেশের একাধিক অংশ। মাসের শেষে এবার আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। জানানো হয়েছে, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, গোয়া, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে।
মৌসম ভবনের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচদিনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেরাদুন -সহ উত্তরাখণ্ডের একাধিক পার্বত্য অঞ্চলে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে আটটি জেলায়। আগামী ৫ জুলাই অবধি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভরা বর্ষায় আপাতত পার্বত্য এলাকাগুলিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা এড়িয়ে যেতেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অমরনাথ যাত্রার পথে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ধস নামলেও প্রাণহানি এড়াতে তৎপর প্রশাসন। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশেও। সেখানে ১ জুলাই পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টি চলতে পারে।
ইতিমধ্যেই বৃষ্টিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত জলমগ্ন। নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। রাস্তা এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ফসলও। বৃষ্টির কারণে হিমাচলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলিতে।
ভারী বৃষ্টি হচ্ছে গোয়াতেও। মঙ্গলবার রাতে টানা বৃষ্টিতে রাজধানী পানাজির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহ থেকেই গোয়ায় বৃষ্টি চলছে। বর্ষায় মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিও যথেষ্ট প্রতিকূল। ভান্ডারা জেলায় গত দু’দিন ধরে অবিরাম অতি ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। পালঘর, রায়গড়-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মুম্বইতে রয়েছে হলুদ সতর্কতা। বিভিন্ন রাজ্যে নদীর ধারে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সতর্ক করেছে প্রশাসন।