প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের সুযোগ ছিল রাজস্থান রয়্যালসের সামনে। হারের হ্যাটট্রিকে প্রবল চাপে পড়েছিলেন সঞ্জুরা। অবশেষে স্বস্তি। দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে রাজস্থান প্লে-অফ নিশ্চিত করল। তবে প্রথম দুইয়ে থাকতে হলে অন্তত আরও একটি জয় চাই। আজ গুয়াহাটিতে হোম ম্যাচে নামছে রাজস্থান। প্রতিপক্ষ পঞ্জাব কিংস আগেই ছিটকে গিয়েছে দৌড় থেকে।
রাজস্থান রয়্যালসের ঝুলিতে রয়েছে ১৬ পয়েন্ট। সানরাইজার্স, চেন্নাইয়ের পাশাপাশি লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছেও সুযোগ ছিল ১৬ পয়েন্টে পৌঁছনোর। সেক্ষেত্রে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে বাকি দু-ম্যাচের অন্তত একটি জিততেই হত রাজস্থান রয়্যালসকে। ১৬ পয়েন্টের রেস থেকে ছিটকে গিয়েছে লখনউ। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে শেষ ওভারে লখনউ হারতেই রাজস্থানের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যায়। কেকেআর রয়েছে ১৯ পয়েন্টে। প্রথম দুইয়ে থাকা নিশ্চিত কেকেআরের।
আজ পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জিতলেই যে প্রথম দুই নিশ্চিত হয়ে যাবে রাজস্থান রয়্যালসের, তা অবশ্য নয়। আজ জিতলে ১৮ পয়েন্ট হবে রাজস্থানের। অন্য দিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। তাদেরও দুটি ম্যাচ বাকি। সুতরাং, সানরাইজার্সের কাছেও সুযোগ রয়েছে ১৮ পয়েন্টে পৌঁছনোর। নেট রান রেটেও অনেকটা এগিয়ে সানরাইজার্স। আজ রাজস্থান জিতলে এবং সানরাইজার্স পরবর্তী ম্যাচে হারলে প্রথম দুই নিশ্চিত সঞ্জুদের। রাজস্থানের শেষ লিগ ম্যাচ শীর্ষে থাকা কেকেআরের বিরুদ্ধে।
প্লে-অফে স্পট রয়েছে দুটি। দৌড়ে রয়েছে পাঁচটি দল। সানরাইজার্সের দুটি ম্যাচ বাকি, পাশাপাশি রান রেটও অনেকটা বেশি। ধরে নেওয়া যায়, তারা প্লে-অফে পৌঁছবে। বাকি একটি স্পটের জন্য লড়াই চেন্নাই, আরসিবি, দিল্লি ও লখনউয়ের। দিল্লির জন্য অবশ্য অঙ্ক জটিল। লখনউয়ের ক্ষেত্রেও তাই। সেক্ষেত্রে বলা ভালো শেষ স্পটের ফাইনাল আরসিবি বনাম চেন্নাই ম্যাচটি।