ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মরসুমের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল রাজস্থান রয়্যালস। কোচ হিসেবে রয়্যালসে ফিরেছেন রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর মুখে হাসি ফুটল। রাজস্থান রয়্যালসের দুটি হোম গ্রাউন্ড। গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় তথা মরসুমের শেষ হোম ম্যাচ খেলল রাজস্থান। হোম ক্রাউডের সামনে ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগের বড় প্রাপ্তি। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ রানে হারাল রাজস্থান রয়্যালস। টানা দু-ম্যাচে হার আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসের।
বিধ্বংসী সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। নিয়মিত ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ের জন্য ফিট সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন। সে কারণে প্রথম তিন ম্যাচের জন্য রিয়ান পরাগকে ক্যাপ্টেন নিয়োগ করে রাজস্থান। আইপিএলে প্রথম বার ক্যাপ্টেন্সি করছেন। শুরুতেই সানরাইজার্সের কাছে হার। এরপর বর্ষাপাড়ায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছেও হার। রিয়ান পরাগের ঘরের মাঠে জয় দিয়ে নতুন শুরু রাজস্থানের।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংস ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রাজস্থানের হয়ে সঞ্জু, রিয়ান পরাগও ভালো ব্যাটিং করেন। তবে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন নীতীশ রানা। রাজস্থানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ প্লাস টার্গেট সেট করতে তারা। যদিও স্লগ ওভারে মাতিসা পাথিরানার অনবদ্য বোলিংয়ে রাজস্থানকে ১৮২ রানেই আটকে রাখে চেন্নাই।
চেন্নাইকে প্রথম দু-ম্যাচেই ভুগিয়েছে ওপেনিং জুটি। এদিনও জুটি অপরিবর্তিত রাখা হয়। রাচিনের ব্যাট ক্লিক করেনি। প্রথম ওভারেই ছন্দে থাকা রাচিনকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন জোফ্রা আর্চার। আর এক ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠীকে ফেরান হাসারঙ্গা। ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ক্রিজে থাকা অবধি ম্যাচ পুরোপুরি চেন্নাইয়ের দখলেই ছিল। ঋতুরাজ ৬৩ রানে ফিরতেই ফের চাপে চেন্নাই।
সাত নম্বরে আসেন ধোনি। ক্রিজে জাডেজার সঙ্গে যোগ দেন সাত নম্বর জার্সির কিংবদন্তি। তখন ২৫ বলে ৫৪ রান প্রয়োজন চেন্নাই সুপার কিংসের। ধোনি ১১ বলে ১৬ রানে ফেরেন। গ্যালারির বড় অংশে চূড়ান্ত হতাশা। ধোনি থাকলে ম্যাচ বেরিয়ে যেত। শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের টার্গেট ছিল ২০ রান। প্রথম বলে ধোনি ফিরতেই রাজস্থান শিবির কিছুটা আস্বস্ত হয়। জাডেজা ও জেমি ওভার্টন মরিয়া চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। মাত্র ৬ রানে হার।