সঞ্জু ফিরতেই খেই হারাল রাজস্থান, ঘরের মাঠে অনবদ্য জয় দিল্লির

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কতটা রান সুরক্ষিত এটা বলা কঠিন। ব্যাটিং প্যারাডাইস। প্রথমে ব্যাটিং হোক বা রান তাড়া, কোনওটাই সমস্যা নয়। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সঞ্জু স্যামসন। দিল্লির ওপেনাররা দুর্দান্ত শুরু করেন। অভিষেক পোড়েল, জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রাজস্থানকে ২২২ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি। রান তাড়ায় সঞ্জু স্যামসনের উইকেটেই রাজস্থানের জয়ের আশা যেন শেষ হয়ে যায়।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুকেশ কুমার আক্রমণে। স্ট্রাইকে বাটলার। মুকেশ কুমারের প্রথম ডেলিভারি। মাত্র ৮ রানেই বাটলারের ক্যাচ ফেলেন স্টাবস। হাই ক্যাচ। নিজেই কল করেছিলেন। কঠিন ক্যাচ। হাতে এলেও ভারসাম্য রাখতে পারেননি। বাটলারের ক্যাচ ফেলা মানেখ! তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে বাটলারকে ফিরিয়ে স্টাবস এবং দিল্লি শিবিরকে স্বস্তি দেন অক্ষর প্যাটেল।

এ বারের আইপিএলে বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। এ মরসুমের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি এল তাঁর ব্যাটে। ৪৬ বলে ৮৬ রানে ফেরেন সঞ্জু। যদিও আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বাউন্ডারি লাইনে শেই হোপ ক্লিন ক্যাচ নিয়েছিলেন কিনা, এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ক্ষোভ নিয়েই মাঠ ছাড়েন সঞ্জু। রাজস্থানের লোয়ার অর্ডারে শুভম দুবে, রোভম্যান পাওয়েলের মতো পাওয়ার হিটার থাকায় ম্যাচ তবু রাজস্থানের পক্ষেই ছিল। সব বদলে গেল কুলদীপের ওভারে।

স্যামসনের আউট যদি প্রথম টার্নিং পয়েন্ট হয়, মূল বিষয় ১৮তম ওভার। মাত্র ৪ রান দিয়ে জোড়া উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। সেটাই ম্যাচের রং বদলে দেয়। ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত রশিক দার। শেষ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯ রান।

স্লগ ওভার স্পেশালিস্ট মুকেশ কুমারের হাতে ছিল দিল্লির ভাগ্য। প্রথম বলে সিঙ্গল। স্লো-ওভার রেটের জন্য বাউন্ডারি লাইনে ৫-এর পরিবর্তে ৪ ফিল্ডার। পাঁচ ছক্কায় জেতার সুযোগ ছিল রাজস্থানের। স্ট্রাইকে রোভম্যান পাওয়েলের মতো পাওয়ার হিটার। ওভারের দ্বিতীয় বলেই তাঁকে ক্লিন বোল্ড করেন মুকেশ কুমার। আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − six =