কলকাতা : আর জি কর কাণ্ড নিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরির কারণে
যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার টিএমসিপি-র সহ সভানেত্রী রাজন্যা হালদার ও তাঁর স্বামী ওই দলের রাজ্য সহ সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীকে শুক্রবার সাসপেন্ড করেছে দল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় শনিবার মাত্রা পেয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
তিলোত্তমাদের গল্প নিয়ে ফিল্ম করে দলের রোষে পড়লেন টিএমসিপির সহ-সভানেত্রী রাজন্যা। প্রান্তিকের পরিচালনায় আর জি কর কাণ্ডের পটভূমিতে তৈরি ‘আগমনী’ নামে শর্ট ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজন্যা। মহালয়ায় শর্ট ফিল্ম মুক্তির আগেই সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করা হল তাঁদের। দল বিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিএমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
সাসপেনশন নিয়ে প্রান্তিক চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘আশার কথা জানিয়ে ফিল্ম তৈরি করেছিলাম। কেন সাসপেন্ড, তা দলই বলতে পারবে”।
মিডিয়া-পরামর্শদাতা ও প্রাক্তন অভিনেতা অরিত্র দত্তবণিক শনিবার লিখেছেন, “আর জি কর ইস্যু নিয়ে সিনেমা প্রচার, রাজনৈতিকভাবে ভুল বার্তা যাচ্ছিলো। তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আগের পদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তী। ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন রাজন্যা, বহু অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও ওই সারিতে মাইক ধরার সুযোগ পাননা। স্বভাবতই যুবনেত্রী হিসেবে অনেকে রাজন্যার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু রাজনীতি ও ক্ষমতা বড় কঠিন গণিত। এখানে প্রতিটি কমিউনিকেশন খুব পরিমিত হতে হয় একটু এদিক ওদিক হলেই এক ধাক্কায় বড় ক্ষতি। তবে কেরিয়ারে ওঁদের সময় রয়েছে। দেখা যাক রাজন্যা ও প্রান্তিক আগামীতে ওঁদের দলের কাছে পুনরায় ভরসার হতে পারেন কিনা। তবে আপাতত সাসপেন্ড তাঁরা দুজনেই।”
সোনালি চক্রবর্তী লিখেছেন, “হায় কপাল। এদের যা আবার সাসপেন্ড। কেউ না তো পায় চিঠি,না তো পায় মেল। ওসব লোক ঠকানো ব্যাপার। মুখে মুখে সাসপেন্ড। তারপর দেখা যাবে আগের মতোই বহাল তবিয়তে আছে। যতোসব নাটকবাজী।” অরিন্দম ভট্টাচার্য লিখেছেন, “সাসপেন্ড দিয়ে ফিল্ম হিট হবে না।
আর চালাকি চলবে না।” হিরণ রায় লিখেছেন, “দেখ কি কান্ড ‘আ হা রে’! মাইয়া টারে এতো বড়ো শাস্তি দিতে পারলো দল?”