কপাল জোরে ফাইনালে উঠল বলে গুজরাট কোচ আশিস নেহরাকে কটাক্ষ রায়নার

আমেদাবাদ: দলের বয়স মাত্র দুই। টানা দ্বিতীয় বার আইপিএলের ফাইনালে গুজরাট টাইটান্স। কম বয়সে সাফল্য বেশি। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্ব, শুভমন গিলের দুরন্ত ফর্ম, মহম্মদ সামি, রশিদ খান, মোহত শর্মাদের আগুনে বোলিং এবং লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট কোচ আশিস নেহরা। গুজরাটের সাফল্যের রসায়ন তাদের দলগত পারফরম্যান্স। ব্যাটে-বলে অনবদ্য একটি টিম তাদের দ্বিতীয় আইপিএল জয়ের দোরগোড়ায়। এমনিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলের সবচেয়ে সফল দুটি দল। সেই তালিকার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছে গুজরাট টাইটান্স। দুই বছরে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে যে সাফল্য এনে দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া-আশিস নেহরা জুটি, তা তাবড় তাবড় কোচ, গালভরা ক্যাপ্টেনরাও পারেননি। তা সত্ত্বেও কটাক্ষ শুনতে হল টাইটান্স কোচ আশিস নেহরাকে। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পর তিনি শুনলেন, “কপালে জোরে আইপিএল ফাইনালে উঠেছে গুজরাট!” শুভমন গিলের সেঞ্চুরি, পাওয়ার প্লে-তে মহম্মদ সামির জোড়া উইকেট এবং মোহিত শর্মার ফিনিশিং টাচ। শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সব দিক থেকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। যোগ্য দল হিসেবে ২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে গুজরাট। টানা দ্বিতীয় বার। ২০২২ সালে আইপিএলের জগতে প্রবেশ হয় গুজরাটের। নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছিল বিতর্কে জর্জরিত ও চোট আঘাতের জেরে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা হর্দিক পান্ডিয়ার উপর। কোচের পদেও তেমন আহামরি নাম নেই। আশিস নেহরা দেশের কিংবদন্তি বা তারকা ক্রিকেটারদের তালিকায় কোনওদিনও ছিলেন না। এমন কোচ-ক্যাপ্টেনের জুটি দেখে বাঁকা হাসি হাসার লোকের অভাব হয়নি। টিমের ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দিহান ছিলেন তাঁরা। সেইসব মানুষদের আপাদমস্তক ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে হার্দিক-নেহরা জুটি। কোনওরকম প্রত্যাশা ছাড়াই আইপিএলের আবির্ভাবকালেই গুজরাটের হাতে উঠেছিল আইপিএল ট্রফি। সাফল্যের উড়ান চলছে এ মরসুমেও। রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কার ‘অপমান’ হজমের পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গুজরাটকে আরও একটি ট্রফি জেতানোর দোরগোড়ায় হার্দিক-নেহরা জুটি। শুধুমাত্র কপালের জোরে কি এত কিছু সম্ভব ? শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জিও সিনেমার হয়ে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন সুরেশ রায়না, পার্থিব প্যাটেল। ম্যাচের পর তাঁরা আশিস নেহরাকে শুভেচ্ছা জানাতে যান। তিনজন একসময়ের সতীর্থ ও বন্ধু। অভিনন্দন জানানোর পর মজার ছলে রায়না বলে ওঠেন, “তোমার ভাগ্যটা ভালো। কপাল জোরে ফাইনালে উঠে গেলে।” এমন কটাক্ষের জবাব দিতে ছাড়েননি নেহরা জি। তিনি বলেন, ” ভাগ্য কি বার বার সঙ্গ দেয়? কপাল জোরে একবার জেতা যায়, বার বার তো নয়। আমরা গতবারও খেতাব জিতেছিলাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =