সোমবার প্রেমাদাসায় পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের মাঝে নামল বৃষ্টি। ফলে খেলা থমকে গেল ১১ ওভারের মাথায়। এই ১১ ওভারে ভারতের ৩৫৬ রানের জবাবে ১১ ওভারে পাক ব্যাটসম্যানেরা তোলেন ৪৪ রান। এর মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ইমাম আর বাবর। ফলে সব মিলিয়ে চাপে পাকিস্তান।
রবিবার প্রেমাদাসায় যে ভিত গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন রোহিত আর শুভমন, এরপর সোমবার তার ওপর রানের এক ইমারত তৈরি করলেন বিরাট আর লোকেশ রাহুল। আকাশে মেঘ থাকলেও কলম্বোয় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এক ঝকঝকে সেঞ্চুরি এল রাহুলের ব্যাট থেকে। রবিবার ম্যাচের প্রথমার্ধে যখন ক্রিজে এসেছিলেন, সামান্য নড়বড় দেখাচ্ছিল।এরপ সোমবার যেন রাহুল ব্যাটিং শুরু করলেন একেবারে অঙ্ক কষে। নাসিম শাহকে সিঙ্গলসে খেলেছেন, লেগস্পিনার শাদাব খানকে আক্রমণ করেছেন, শাহিনকে খেলেছেন বল অনুযায়ী। এটাই দেখতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। যে বড় ম্যাচ বড় প্লেয়ারকে হারানো ফর্ম ফিরিয়ে দেয়। বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে পারেন কিনা, তা দেখে নেওয়া দরকার ছিল তাঁদের। রাহুল একশোয় ১০০ পেলেন। ১০০ বলে ১০০ করার পথে মেরেছেন ১০চার ও ২টো বিশাল ছয়।
ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন রাহুল। হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত এক ছন্দে। পঞ্চাশ করার পর আর এক রূপ দেখিয়েছেন। এদিকে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের বাইশ গজে বল থমকে আসে, আউট ফিল্ড স্লো। বৃষ্টিতে আরও মুশকিল বেড়েছিল। কিন্তু রাহুলকে থামানো যায়নি।
এদিকে সোমবার কেরিয়ারের ৪৭তম ওডিআই শতরান এল বিরাটের ব্যাটে। তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছলেন ৮৪ বলে। সঙ্গে আরও একটা মাইলফলক। এরপর কোহলির ৯৪ বলে ১২২ আর রাহুলের ১০৬ বলে ১১১ রানের সুবাদে ভারত ৫০ ওভারে পৌঁছে যায় ৩৫৬ তে।
এরপর ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ৯ রানে ইমামকে ফেরান বুমরাহ। এরপর পাক শিবিরে ফের আঘাত হানেন হার্দিক। হার্দিকের ইনসুইং বুঝতে না পেরে ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় বোল্ড হন বাবর।