আর কয়েক ঘণ্টা পরে রাজকোটে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চলতি পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে। এই ম্যাচ ভারতের জন্য মরণ-বাঁচন। সিরিজে ভারত পিছিয়ে রয়েছে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে হারতে হলেও শেষ ম্যাচে দুরন্ত কামব্যাক করেছে ঋষভ পন্থের ভারত। বিশাখাপত্তনমে ৪৮ রানে বাভুমাদের হারান পন্থরা। বিশাখাপত্তনমের জয় নিশ্চিত ভাবেই ভারতকে অক্সিজেন দিয়েছে। জয়ের ধারাই ধরে রাখতে চাইবে ভারতীয় দল। রাজকোটে যদি ভারত জিততে পারে, তাহলে আগামী রবিবার বেঙ্গালুরুতে সিরিজের ফয়সালার ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
রাজকোটে ব্যাটিং সহায়ক পিচই হতে চলেছে। উইকেটে বাউন্স থাকবে এবং ব্যাটারদের জন্য অনেক রানও থাকবে। তবে বিগত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে রাজকোটে। পিচ ঢাকা ছিল এবং সূর্যের দেখাও খুব বেশি পাওয়া যায়নি। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে যে, শুক্রবার খুব বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যে দলই টসে জিতবে তাদের প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আইপিএলে নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার পরই দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হতে হয়েছে ভারতকে। রোহিত, কোহলি, বুমরা-সহ প্রথম একাদশের বেশ কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন বিশ্রামে। সিরিজ শুরুর ঠিক আগেই চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন কে এল রাহুল ও কুলদীপ যাদব। এই অবস্থায় কিছুটা আনকোরা দল নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে পন্থদের। বাড়তি দায়িত্ব থাকছে ঈশান কিষান, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া বা ভুবনেশ্বর কুমারদের উপর। ঈশান, হার্দিক বা ভুবি ছাড়া সেভাবে কেউই ফ্মে নেই। সবথেকে বেশি ভোগাচ্ছে শ্রেয়স আইয়ার, পন্থের রান না পাওয়া।
অপরদিকে প্রোটায়াদের দলে অধিনায়ক বাভুমা, ক্লাসেন, ডুসেন, মিলার প্রত্যেকেই রানের মধ্যে আছেন। বোলিংয়ে রাবাডা, পার্নেল, নখিঁয়েরা রীতিমতো ভরসা দিচ্ছেন। তাই সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে তিন বিভাগেই এগিয়ে থাকতে হবে ভারতকে। শেষ ম্যাচে রান পেয়েছেন ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। আগের ম্যাচের দলে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগের ম্যাচে ভারত জিতলেও কোনো উইকেট না পেয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়েছেন আবেশ খান। তাঁর জায়গায় অভিষেক হলেও হতে পারে আইপিএলের আবিষ্কার উমরান মালিক নাহলে একই দল ধরে রাখা হতে পারে।