ব্যারাকপুর :দিন তিনেক আগে বাইকের ধাক্কায় তুবড়ে গিয়েছিল শ্যামনগরের ২৩ নম্বর রেলগেট। যান চলাচল থমকে গিয়েছিল। ফের শনিবার একই ঘটনা ঘটল। গেট পড়ার সময় দ্রুতবেগে পার হতে গিয়ে মিনি ট্রাকটি গেটে সজোরে ধাক্কা মারে। লেভেল ক্রসিংয়ের এই গেট ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল দীর্ঘক্ষন বন্ধ হয়ে যায়।
শিয়ালদহ মেইন শাখার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন শ্যামনগর। এই স্টেশন সংলগ্নদুটি রেলগেট। একটি ২৪ নম্বর রেলগেট। যেটির একদিকে ঘোষপাড়া রোড, অন্য দিকে বাসুদেবপুর রোড। আরেকটি ২৩ নম্বর রেলগেট। এই গেটের একপাশে ব্যস্ততম ঘোষপাড়া রোড। আরেকধারে ফিডার রোড। আর এই ফিডার রোড মিশেছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, তিন দিন আগে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছিল শ্যামনগর স্টেশন সন্নিহিত এই ২৩ নম্বর রেলগেট। শনিবার সকালের দিকে ফের ভাঙল শ্যামনগর ২৩ নম্বর রেলগেট। এদিন ২৩ নম্বর রেলগেট ভেঙে যাওয়ায় পাশের ২৪ নম্বর গেটের ওপর চাপ পড়ে। অবশেষে রেল অধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেঙে যাওয়া গেটটি মেরামতি করেন। তারপর যান চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়।
এদিকে বারবার গেট ভেঙে যাওয়ায় রেল প্রশাসনের নজরদারির অভাবকেই দুষলেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি যানজটের হাত থেকে মুক্তি পেতে তারা আন্ডারপাসের দাবিও করলেন। স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ও মনোরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘২৩ নম্বর রেলগেটের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ বারবার ভাঙছে এই গেট। গেটম্যান কিংবা রেলপুলিশ ঠিকমতো নজর না দেওয়ায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় বিপত্তি ঘটছে।’ অভিযোগ, দীর্ঘক্ষন গেট পড়ে থাকলে ঘোষপাড়া রোডের চৌরঙ্গী মোড় এবং ফিডার রোডে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গেট তুলে দিয়ে তারা আন্ডারপাসের দাবি স্থানীয় বাসি¨াদের।
অন্য দিকে শ্যামনগরের বাসিন্দা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষাল বলেন, ‘২৩ নম্বর রেলগেট ঘিরে সমস্যা বহুদিনের। একটু বেশি সময় গেট পড়ে থাকলে ঘোষপাড়া রোডে প্রচুর যানজট হয়।’ তাঁর দাবি, একমাত্র আন্ডারপাস গড়ে উঠলেই পাকাপাকিভাবে সুরাহা মিলবে। যদিও আন্ডারপাস গড়ার ব্যাপারে বিপুলবাব বলেন, ‘সাংসদ অর্জুন সিং কাজ বোঝেন। তাই আন্ডারপাস তৈরির ব্যাপারে ওনাকেই এগিয়ে আসতে হবে।’