ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুমে একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত তকমা ধরে রাখল দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয়। এ দিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে তাদেরই ঘরের মাঠে ৬ উইকেটে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। রজত পাতিদারের নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এ বার দুর্দান্ত টিম। সব কটি অ্যাওয়ে ম্যাচেই জিতেছে। গত ম্যাচে মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। কিন্তু ঘরের মাঠে দুটো ম্যাচের মধ্যে দুটোতেই হার। দিল্লি ক্যাপিটালস নয়, এ দিন কার্যত লোকেশ রাহুলের কাছেই হার আরসিবির।
আইপিএল এবং আরসিবির সৌজন্যে বেঙ্গালুরু বিরাট কোহলির নিজের শহর হয়ে উঠেছে। কিন্তু আদতে তিনি দিল্লির ছেলে। আর অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু যার আসল শহর সেই লোকেশ রাহুল খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালসে। বেঙ্গালুরুর গ্যালারি এদিন যেমন কিং কোহলির জন্য গর্জন করল তেমনই ঘরের ছেলে লোকেশ রাহুলের জন্যও। যতই দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলুন, এই শহর তো তাঁরই। কেরিয়ারের শুরুও হয়েছিল আরসিবিতেই। পরেও একবার ফিরেছিলেন। এ বারও সম্ভাবনা ছিল, সমর্থকদের দাবিও। কিন্তু পূরণ হয়নি। সেই লোকেশ রাহুলই অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংসে মুগ্ধ করলেন। টানা দু-ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি প্লাস ইনিংস।
হোম গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আরসিবি। শুরুটাও দুর্দান্ত। প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই ৫০ আরসিবির। সেখান থেকে ২০০ স্কোরের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন সমর্থকরাও। কিন্তু কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ফিল সল্টের রান আউটেই সব ওলটপালট। বিনা উইকেটে ৬১ থেকে দ্রুতই ১০২-৫। ভাঙন যদিও থামেনি। শেষ দিকে টিম ডেভিডের ২০ বলে ৩৭ রানের ক্য়ামিও ইনিংসের সৌজন্যে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ করে আরসিবি।
ফাফ ডুপ্লেসি ফেরায় লোকেশ রাহুল ফের মিডল অর্ডারে। যদিও তাঁকে নামতে হল পাওয়ার প্লে-তেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ এবং তৃতীয় ওভারের শুরু। পরপর ফাফ ডুপ্লেসি ও জ্যাক ফ্রেজারের উইকেট নেন যশ দয়াল ও ভুবনেশ্বর কুমার। পাওয়ার প্লে-তে অভিষেক পোড়েলকেও ফেরান ভুবি। ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল দিল্লিও। কিন্তু ওই যে রাহুলখনাম তো সুনা হি হোগা।
ব্যক্তিগত ৫ রানে রাহুলের ক্যাচ ফসকান আরসিবি ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার। সেই রাহুলই অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন। পঞ্চম উইকেটে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন তরুণ প্রোটিয়া ব্যাটার ত্রিস্তান স্টাবস। ২৩ বলে ৩৮ রান করেন। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।