আইপিএলের শুরুটা ঝকঝকে হলেও যত দিন যাচ্ছে ততই যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও বড় ব্যাবধানেই হারতে হল কেকেআরকে। সৌজন্যে এক প্রাক্তন নাইট। দিল্লির বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল কুলদীপ যাদবের জন্য। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারতে হল রাহুল ত্রিপাঠির জন্য। হায়দরাবাদ জিতল ৭ উইকেটে।
ব্র্যাবোর্নে এদিন টস জিতে প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আগের কয়েকটি ম্যাচের মতোই শুরুটা জঘন্য হয় নাইটদের। রাহানের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ফিঞ্চ এদিন ব্যর্থ হন। ফের ব্যর্থ হন ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে পাঠানো হয়েছিল সুনীল নারিনকে। তিনিও ব্যর্থ হন। যার ফলে মাত্র ৩১ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলে নাইটরা। এরপর অধিনায়ক শ্রেয়স এবং নীতীশ রানা জুটি বেঁধে কেকেআরকে ম্যাচে ফেরান। শ্রেয়স করেন ২৮ রান। ৩৬ বলে ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নীতীশ রানা। শেষদিকে রাসেলের ২৫ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের জোরে নাইটরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৫ রানে পৌঁছায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি হায়দরাবাদেরও। ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এদিন ব্যর্থ হন। কিন্তু দুই উইকেটের পতনের পর সানরাইজার্স ইনিংসের হাল ধরেন এক প্রাক্তন নাইট। যাকে নিলামে কেনার জন্য ঝাঁপিয়েও শেষপর্যন্ত কিনতে পারেনি নাইটরা। সেই রাহুল ত্রিপাঠী কার্যত একার হাতে ম্যাচ কেকেআরের হাত থেকে বের করে নিয়ে চলে যান। মাত্র ৩৭ বলে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ত্রিপাঠি আউট হওয়ার আগেই ম্যাচ কার্যত হাতের বাইরে চলে যায় নাইটদের। শেষের দিকে হায়দরাবাদের হয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন মার্করাম। তিনি করেন ৬৮ রান। ১৩ রান বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণের দলটি।
এদিনে হারের ফলে ৬ মাচে নাইটদের পয়েন্ট দাঁড়াল মাত্র ৬। পয়েন্ট টেবিলে তাঁরা নেমে এল ৪ নম্বরে। হায়দরাবাদও উঠে এল ৬ পয়েন্টে। যেভাবে দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে, বল হাতে বরুণ চক্রবর্তী যেভাবে সব ম্যাচে মার খাচ্ছেন, তাতে আগামী ম্যাচগুলির আগে ভালমতোই চাপে পড়ে যাবে কেকেআর। এদিন ইউকেটরক্ষক শেলডন জ্যাকসনও হতাশ করেছেন।