সাড়ে চার মাসের মাথায় সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধি। সোমবারই লোকসভা সেক্রেটারিয়েটের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওয়েনাদের সাংসদের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দলের কর্মী সমর্থকরা। ১০ জনপথ রোডে রাহুল গান্ধির বাসভবনের সামনে নাচগান শুরু করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকেই মণিপুর ইস্যুতে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনা শুরু হবে সংসদে। তার আগের দিনই ফিরিয়ে দেওয়া হল রাহুলের সাংসদ পদ। এদিকে পদ ফিরে পাওয়ার পর নিজের টুইটার হ্যান্ডলের ‘বায়ো’ বা সংক্ষিপ্ত পরিচয় বদলে ফেললেন রাহুল গান্ধি। গত ২৪ মার্চ সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরও এই ‘বায়ো’ বদলে ফেলেছিলেন রাহুল। সোমবার অবশ্য রাহুলের টুইটার বায়োতে লেখা ছিল ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’। অর্থাৎ, লোকসভার সদস্য।
গত মার্চ মাসে রাহুল যখন টুইটারের বায়ো বদলে ফেলেন, তখন সেখানে লেখা ছিল, ‘এটি রাহুল গান্ধির অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য।’ এর পরেই নতুন শব্দবন্ধ জোড়ে অ্যাকাউন্টে। লেখা হয়, ‘ডিস্’কোয়ালিফায়েড এমপি’ (অযোগ্য সাংসদ)। মনে করা হয়, নিজের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিদ্রুপ করতে সচেতন ভাবেই ওই বানান লেখেন রাহুল।
উল্লেখ্য, মোদি পদবি অবমাননা মামলায় রাহুলকে গত মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাতের আদালত। গত ৭ জুলাই রাহুলের সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তের পরেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার রাস্তা সুগম হয়। সোমবার রাহুলকে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।