জাতীয় দলে আর কি প্রত্যাবর্তন সম্ভব? অনেকের ক্ষেত্রেই প্রশ্নটা কঠিন। সবচেয়ে কঠিন এর উত্তর খুঁজে পাওয়া। একটা সময় দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন। পরবর্তীতে শুধুমাত্র টেস্ট প্লেয়ারের তকমা দেওয়া হয়। রাহুল দ্রাবিড়ের মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটার বলা হত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গত টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিল ভারত। সেখান থেকে তাঁর নেতৃত্বেই সিরিজ জিতে ফিরেছিল ভারতীয় দল। সেই অজিঙ্ক রাহানে এখন টেস্ট দলেও ব্রাত্য। গত বারের রঞ্জি ট্রফি জিতেছেন। প্রত্যাবর্তন অবশ্য হয়নি। এ বার তাই কাউন্টি ক্রিকেট দিয়েই নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা।
এর আগেও জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। আবার ফিরেওছেন। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজটা যেন অভিশপ্ত হয়ে থাকবে। বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিল অজিঙ্ক রাহানে। পরের ম্যাচেই ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর আর টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা হচ্ছিল না। গত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হঠাৎই সুযোগ মেলে রাহানের। দুর্দান্ত খেলেনও। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও নিয়ে যাওয়া হয়। দু-ম্যাচে বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল না। তৎকালীন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর দাবি করেছিলেন, পরবর্তী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রাহানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সুযোগই পাননি।
ভারতীয় ক্রিকেট এখন পালা বদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাহানে অবশ্য এখনও আশা করছেন, টেস্ট স্কোয়াডে ফিরবেন তিনি। আইপিএলের আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল ভারত। একাধিক সিনিয়র প্লেয়ারকে পাওয়া যায়নি। তাতেও দলে ফেরানো হয়নি রাহানেকে। গৌতম গম্ভীর সদ্য জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরের পর ঘরের মাঠে বাংলাদেশর বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ রয়েছে ভারতের। তার আগে নির্বাচকদের বার্তা দেওয়ায় নজর রাহানের।
কাউন্টি ক্রিকেটে লেস্টারশায়ারের হয়ে খেলছেন রাহানে। ইংল্যান্ডের ওয়ান ডে কাপে নটিংহ্যামশায়ারের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই বিধ্বংসী ইনিংস। চারে ব্যাট করতে নামেন রাহানে। ক্রমশ তিন অঙ্কের রানের দিকে এগোচ্ছিলেন। ৬০ বলে ৭১ রানে ফেরেন রাহানে। ৯টি বাউন্ডারি বাউন্ডারিও মারেন জিঙ্কস।