রাহুলের পথে রাঘব,  টুইটারে বায়ো বদল আপ নেতার

রাহুল গান্ধির পথ অবলম্বন করলেন আপ সাংসদ। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর নিজের টুইটার বায়ো বদলে ফেললেন আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা। এত দিন তাঁর পরিচয় হিসাবে টুইটারে শোভা পেত, ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’। তবে ভারতের সংসদের সদস্য, এই পরিচয়কে মুছে ফেলে নিজের টুইটার বায়োতে ‘সাসপেন্ডেড সদস্য’ লিখলেন চাড্ডা।

গত ২৪ মার্চ সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে এই ‘বায়ো’ বদলে ফেলেন রাহুল। ‘অযোগ্য সাংসদ’ পরিচয়ের আগে সেখানে স্থান পেয়েছিল ‘কংগ্রেস নেতা’ হিসাবে তাঁর পরিচিতির দিকটি। সোমবার সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর অবশ্য রাহুলের টুইটার বায়ো আবার বদলান তিনি। সেখানে লেখা হয় ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’। অর্থাৎ, সংসদের সদস্য।

শুক্রবার আপ সাংসদ রাঘবকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। স্বাধিকাররক্ষা (প্রিভিলেজ) কমিটি যত দিন না এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিচ্ছে, তত দিন রাঘবকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েই থাকতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল’ সংক্রান্ত প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করার সময় পাঁচ সাংসদের সই জাল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, সাসপেন্ড হয়েও চুপ থাকার পাত্র নন রাঘব। গতকাল রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরই তিনি ভিডিও বার্তায় নিজেকে পরিচয় দেন সাসপেন্ড হওয়া রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা। এরপরে তিনি ব্যাখ্য়াও দেন যে কোনও সাংসদের সই জাল করেননি।

ভিডিও বার্তার শুরুতেই আপ নেতা রাঘব চাড্ডা বলেন, ‘নমস্কার, আমি সাসপেন্ডেন্ড রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা। হ্যাঁ, আমাকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমার কি অপরাধ?’। সাংসদদের সই নকল করার যে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে, তার সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপির লোকজনেরা বলছেন যে আমি বেশ কয়েকজন সাংসদের সই জমা দিয়েছি। আমি আপনাদের সত্যিটা বলছি। যে কোনও সাংসদেরই অধিকার রয়েছে কমিটির জন্য নাম সুপারিশ করার। এর অর্থ হল আমি সিলেক্ট কমিটির জন্য় নাম প্রস্তাব করতে পারি। এর জন্য আমার কোনও সাংসদের লিখিত অনুমতি বা স্বাক্ষরের প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র নাম পাঠালেই হবে। যদি কোনও সাংসদের আপত্তি থাকে, তবে তিনি নাম প্রত্যাহার করতে পারেন। আমরা কারোর সই জমা দিইনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − four =