অখ্যাত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হারের আতঙ্ক এড়ালেন নাদাল

২০১৯ সালে শেষ বার ইউএস ওপেন খেতাব জিতেছিলেন রাফায়েল নাদাল। বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে থাকা রাফা চলতি বছরের উইম্বলডনের সেমিফাইনাল থেকে তলপেটে চোটের কারণে সরে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি সিনসিনাটি মাস্টার্স দিয়ে কোর্টে কামব্যাক করেন। এ বার তাঁর সামনে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম খেতাবে নজর রাফার। চলতি বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন স্প্যানিশ টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। যুক্তরাষ্ট্রে ওপেনের শুরুটা জয় দিয়েই করেছেন ২২টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নাদাল। ফ্লাশিং মিডোয় পুরুষদের সিঙ্গলসের প্রথম রাউন্ডে রাফা হারিয়েছেন টুর্নামেন্টের ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পাওয়া অজি টেনিস প্লেয়ার রিঙ্কি হিজিকাতাকে। নিউ ইয়র্কে অখ্যাত প্রতিপক্ষ রিঙ্কির বিরুদ্ধে প্রথম সেটে ৪-৬ হেরে যান রাফা। এর পরের তিনটে সেটে নাদাল আর কার্যত দাঁড়াতে দেননি রিঙ্কিকে।

৩৬ বছর বয়সী নাদাল দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথে রিঙ্কি হিজিকাতাকে হারান ৪-৬, ৬-২, ৬-৩, ৬-৩ ফলাফলে। এ বার দ্বিতীয় রাউন্ডে নাদালের প্রতিপক্ষ ইতালির ফ্যাবিও ফগনিনি। যে ম্যাচ ঘিরে টেনিসপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই উত্তাপ অনুভব করছে। কারণ, ২০১৫ সালের ইউএস ওপেনে এই জুটির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছিল টেনিসবিশ্ব। ফ্লাশিং মিডোয় এ বার সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হবে না তো?

ফগনিনির বিরুদ্ধে রাফার মুখোমুখি সাক্ষাতের রেকর্ড কিন্তু বেশ নজরকাড়া। ফগনিনির বিরুদ্ধে রাফা ১৩-৪ এগিয়ে। এরই মধ্যে ২০১৫ সালের ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে রাফা বনাম ফগনিনি ম্যাচ নিয়ে চর্চা চলছে। সেই ম্যাচে প্রথম দুই সেটে পিছিয়ে থেকেও শেষ অবধি রাফাকে হারিয়ে দেন ফগনিনি। তাই ফগনিনির বিরুদ্ধে নামার আগে নিশ্চই রাফার মাথায় থাকবে সেই ম্যাচ।

এ বারের ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পর নাদাল বলেন, “কামব্যাক করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। অনেক দিন পর এখানে খেললাম। একটা সময় মনে হয়েছিল, আমি হয়তো ফিরতে পারব না। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। দর্শকদের অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পাশে থাকার জন্য।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 2 =