কয়েক সপ্তাহ আগেই বাঁ পায়ের চোটে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। কোর্ট ছেড়েছিলেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে। কিন্তু চোটও যে কিংবদন্তিদের জেদের কাছে বশ্যতা শিকার করে নেয়। ফরাসি ওপেনে নেমে ফের তিনি বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁকে ক্লে কোর্টের রাজা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। নরওয়ের প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে কেরিয়ারের ১৪ তম ফরাসি ওপেন খেতাব জিতলেন রাফায়েল নাদাল। ক্লে কোর্টে ফের বাজিমাত। কয়েক সপ্তাহ আগে যাঁকে খোঁড়াতে খোঁড়তে কোর্ট ছাড়তে দেখা গিয়েছিল, সেই রাফায়েল নাদালই জিতলেন ফরাসি ওপেন। নরওয়ের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিলেন হেলায়।
সুপার সানডের মেগা ফাইনাল। এদিন রোলা গাঁরোয় ফেভারিট ছিলেন নাদালই। তাঁর বিপক্ষে প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন নরওয়ের ক্যাসপার রুড। খেললেন, কিন্তু জিততে পারলেন না।
দ্বিতীয় সেটে অবশ্য ৩-১ এগিয়ে গিয়েছিলেন রুড। এরপর নাদালের দাপুটে মেজাজের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন তিনি। স্প্যানিশ তারকার পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-৩, ৬-০। খেলার স্কোরই বলে দিচ্ছে লড়াইটা কতখানি একপেশে। প্রথম দুটি সেটে সামান্য লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও তৃতীয় সেটে নাদালের সামনে একেবারে অসহায় আত্মসমর্পণই করে দেন রুড। আর সেই সঙ্গে ফরাসি ওপেনের ১৪তম খেতাবটি নিশ্চিত করে ফেলেন নাদাল।
তাঁর পছন্দের কোর্টে নজির গড়ে জীবনের ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি ঘরে তুললেন নাদাল। এখানেই শেষ নয়, চ্যাম্পিয়ন হয়ে একাধিক রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। সবচেয়ে বয়স্ক টেনিসতারকা হিসেবে ক্লে কোর্ট খেতাব জয়ের নজির এখন নাদালের ঝুলিতে। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে প্রথমবার প্যারিসে এই গ্র্যান্ড স্লামের পাশে নিজের নাম খোদাই করেছিলেন নাদাল। তারপর একে একে ১৪টি। কোনও মহিলা কিংবা পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় প্যারিসের এই কোর্টে ১৪টি খেতাব জেতেননি।
দু’দিন আগেই জন্মদিন ছিল তাঁর। আর নিজেকে নিজেই জন্মদিনের সেরা উপহারটি দিলেন স্প্যানিশ তারকা। রজার ফেডেরার, নোভাক জকোভিচকে পিছনে ফেলে এখন টেনিস দুনিয়ার বেতাজ বাদশা রাফায়েল নাদালই।