বার্গারের স্বাদ কেমন হয়? নানা ফ্লেভারই তো থাকে! তবে এই বার্গারের বড্ড ঝাঁঝ। অভিজ্ঞ কাগিসো রাবাডার সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটিংকে তছনছ করলেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নান্দ্রে বার্গার। ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজেই সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অকশনে নাম লিখিয়েছিলেন। নিলামে শেষ মুহূর্তে বেস প্রাইসে টিম পেয়েছিলেন। তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালস হয়তো কিছুটা উচ্ছ্বসিত হতে পারে যে, বার্গারে ভরসা রেখে ভুল করেনি। ভারতের ইনিংস হারে বড় ভূমিকা রাখলেন বার্গারই।
কাগিসো রাবাডা, মার্কো জানসেন, নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোৎজে। চার পেসার নিয়ে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে মার্কো জানসেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। একাদশে মাত্র চার বোলার। স্পিন বোলিং প্রয়োজন হলে বিকল্প ছিলেন এইডেন মার্কর্যাম। এতকিছুর প্রয়োজনই হল না। প্রথম ইনিংসে চার পেসার দিয়েই ভারতকে মাত্র ২৪৫ রানে অলআউট করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে দশজন নিয়ে লড়াই করতে হল প্রোটিয়াদের। ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ব্যাটিংয়ে নামতেই পারেননি।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ভরাডুবি কিছুটা আটকেছিলেন লোকেশ রাহুল। সেঞ্চুরির অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন রাহুল। ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে করে ৪০৮ রান। এর মধ্যে ডিন এলগার একাই ১৮৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে আরও বিপর্যয়। মাত্র দুই ব্যাটার দু-অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারলেন। শুভমন গিল এবং বিরাট কোহলি। ইনিংস হার এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছিলেন বিরাট কোহলি। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়তে থাকায় বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন বিরাট। শেষ অবধি তাঁর উইকেটেই ভারতের ইনিংস শেষ হয়। বক্সিং ডে টেস্টে ইনিংস ও ৩২ রানে হার ভারতের। বিরাট কোহলি করেন ৭৬ রান। স্ট্রাইকরেট ৯২-এর বেশি।