নয়াদিল্লি : আর জি কর হাসপাতালে মৃত চিকিৎসকের (তিলোত্তমা) সঠিক ভাবে ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানীতে।
আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের তরফেও জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে— সেই সময়ের উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, সব কিছু উল্লেখ রয়েছে।
প্রশ্ন ওঠে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও। এদিন সলিসিটার জেনারেল জানান, রাজ্য নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতা সিএসএফএল-কে পাঠিয়েছিল। সিবিআই বলে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইমস এবং অন্য ফরেন্সিককে পাঠানোর। কে নমুনা সংগ্রহ করেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
নিহত তরুণীর পোশাক কি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তদন্তকারী আধিকারিককে পাঠিয়েছিলেন? আদালতে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তাঁর সওয়াল,
“দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। সেটা না করলে নষ্ট হয়ে যায়, চিকিৎসকরা কি সেটা করেছিলেন?’’
ফিরোজ এডুলজির বক্তব্য, “বলা হচ্ছে, মৃতার পা ৯০ ডিগ্রি কোণে ছিল। হাঁটু ভাঙা না হলে এটা সম্ভব নয়।” ঘটনার এক মাস পরেও মৃত্যুর সময় কেন জানা গেল না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে আইনজীবীর। হাসপাতালের শৌচালয়ের সব টাইল্সও বদলে ফেলা হয়েছে বলেও সোমবার আদালতে জানান এডুলজি। তাঁর দাবি, ফলে অভিযুক্তের লুমিনেল পরীক্ষা করানো হলেও কিছু পাওয়া যাবে না।
প্রধান বিচারপতিও জানতে চান, মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার চালান কোথায়, সে নিয়েও প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।