পুরনো রীতি মেনে পাকুয়াহাটের আদি শ্যামা মা’র বিসর্জন হয় পুজোর পরেরদিনই!

অমাবস্যা তিথিতে কালীমাতার পুজোর পরেরদিন বিসর্জন দেওয়া হয় দেবী মূর্তির। মালদার বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট এলাকার আদি শ্যামা কালী মায়ের পুজো সংশ্লিষ্ট এলাকার জমিদারের হাত দিয়ে শুরু হলেও, বর্তমানে তা এখন সর্বজনীন। এই কালীপুজোকে ঘিরে এলাকার মানুষদের কাছে নানান কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। প্রায় ২০০ বছরের পাকুয়াহাটের আদি শ্যামাকালী পুজো আজও প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে হয়ে আসছে। এই পুজোকে ঘিরে প্রতি বছরই ভক্তদের বিপুল ঢল নামে, তার সঙ্গেও চলে মেলাও।

স্থানীয় প্রবীণদের কথায়, এক সময় পাকুয়াহাটের জমিদার নন্দী চৌধুরী দেবী মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো চালু করেছিলেন। এরপর তিনি জমিদারি ছেড়ে বর্ধমান যাওয়ার আগে পাকুয়াহাটের নয়টি গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে এই পুজোর দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। পুরনো নিয়ম মেনে আজও আদি শ্যামা মায়ের পুজো হয়ে আসছে। ওই এলাকায় প্রচলিত রয়েছে যে শ্যামা মায়ের কাছে যে যা মানত করেন, দেবী মাতা তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করে।

পুরনো রীতি মেনে কালী পুজোর পরের দিনই মায়ের বিসর্জন করে দেওয়া হয়। যদিও আগে পুজোর রাতেই বিসর্জন করা হত সূর্য উদয়ের আগেই। কিন্তু বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শন করতে আসেন। তাই এখন পরের দিন বিসর্জন করা হয়। এই পুজোকে ঘিরে বহু অলৌকিক কাহিনি জড়িয়ে আছে। এই পুজোকে ঘিরে বহু দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে। সারা বছর পুজো হয় মা কালীর। এই মা কালীর পুজোয় পাঁঠা বলির নিয়ম রয়েছে। পুজোর দিন কয়েকশো পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় বসে মেলা। পাকুয়াহাট সহ তার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আজও নিয়ম নীতি মেনে পুজো করে আসছেন শ্যামা কালীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + nineteen =