পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসক হলেন পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি। রবিবারই, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। যদিও, নতুন জেলাশাসকের নাম ঘোষণা হয়নি। এরপর সোমবারই পূর্ব মেদিনীপুরের নতুন জেলা শাসকের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসেবে লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে জয়শ্রী দাশগুপ্তকে নিয়োগ করা হয়েছিল। আদর্শ নির্বাচনী বিধি উঠে যেতেই রদবদল শুরু করা হল জেলা প্রশাসনে। জয়শ্রী দাসগুপ্তকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা রবিবারই জানানো হয়। তাঁকে পাঠানো হয় পার্সোনাল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস দফতরে। অন্যদিকে, ১৯৯৫ ব্যাচের ডব্লুবিসিএস অফিসার পূর্ণেন্দু কুমার মাঝিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পদে নিয়ে আসা হল। তিনি স্টেট ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের এমডি পদে ছিলেন। নবান্ন একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন জেলাশাসকের নাম ঘোষণা করে।
গত প্রায় তিন বছর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন পূর্ণেন্দু মাঝি। তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তনবীর আফজলকে। লোকসভা নির্বাচনের সময় তনবীরকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় জয়শ্রীকে। ভোট মিটতেই জয়শ্রী দাশগুপ্তকে সরিয়ে আবার দায়িত্ব দেওয়া হল পূর্ণেন্দু মাঝিকে। লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি শুরু হতেই একাধিক জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে। একাধিক জেলার এসপি, ওসি বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। পুরুলিয়ার জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কন্টাইয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং পটাশপুর থানার ওসি রাজ কুণ্ডুকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
এদিকে ভোটের মাঝেই এই প্রশাসনিক রদবদল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে প্রশাসনিক পদে এই রদবদল করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচন মেটার পর প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পুলিশের এসপি, সিপি, আইজি, ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারদের সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।