পঞ্জাবের দিশাহীন ক্রিকেট, ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে ফিরল রয়্যালস

বলা যেত রাজস্থানের সহজ জয়। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায় চূড়ান্ত ক্লোজ। এই মাঠেই গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলেছিল পঞ্জাব কিংস। শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মার অনবদ্য লড়াইও পঞ্জাবকে জেতাতে পারেনি। মাত্র ২ রানে হেরেছিল পঞ্জাব কিংস। এ দিন ছিল বোলারদের লড়াই। শেষ মুহূর্ত অবধি চোয়ালচাপা লড়াইয়েও জয় এল না। গত ম্যাচের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ের রাস্তায় ফিরল পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালস। এক বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়।

অব্যবহৃত অস্ত্র। রাজস্থান রয়্যালস শিবিরে শিমরন হেটমায়ার এ বার তাই ছিলেন। সঞ্জু স্যামসন, রিয়ান পরাগরা এত ভালো খেলেছিলেন, ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাচ্ছিলেন না হেটমায়ার। প্রয়োজনের সময় ঠিক নিজের স্নায়ুর চাপ সামলে দলকে জয়ের সীমানা পার করালেন। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শিখর ধাওয়ানের চোট থাকায় পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারান। গা-ছাড়া ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৪৭ রান তোলে পঞ্জাব। শেষ দিকে লিয়াম লিভিংস্টোন, আশুতোষ শর্মা ইমপ্যাক্ট ইনিংস না খেললে এই অবধিও পৌঁছতে পারত না পঞ্জাব।

রান তাড়ায় শুরু থেকে দুর্দান্ত। যদিও অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজস্থান। এরপরও তাদের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। শেষ দিকে এতটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হবে, আশা করা যায়নি। ১৯ তম ওভারে জোড়া উইকেট নেন স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেন স্যাম কারান। ম্যাচ ফের পঞ্জাবের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। শেষ ওভারে রাজস্থানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ রান।

স্ট্রাইকে শিমরন হেটমায়ার। বল অর্শদীপ সিং। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতানোর ইতিহাস রয়েছে তাঁর। আবারও একটা অবিশ্বাস্য ওভারে ম্যাচ জেতাতে পারবেন, পঞ্জাব শিবিরে সেই ভরসা জমতে শুরু করে। তৃতীয় বলে ছয় মেরে চাপ হালকা করেন হেটমায়ার। উল্টোদিকে কেশব মহারাজ থাকায় সিঙ্গল নিচ্ছিলেন না। পরের বলে ডাবল নেন। পঞ্চম বলে ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 10 =